সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে সুনসান নীরবতা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জ শহরের বাড়িতে ঘুঘু চরার দশা। যে বাড়িটিতে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ছিল পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট, দলীয় নেতাকর্মী ও সাক্ষাৎ প্রার্থী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকতো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত- সেই বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা। মাঝেমধ্যে কৌতূহলী পথচারী ক্ষণিক থমকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন সেই দৃশ্য।
পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি এবং এর আগে ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালীন কিশোরগঞ্জ শহরের এই ভিভিআইপি বাড়িটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালাক্রমে বসত পুলিশি পাহারা।
কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকায় অবস্থিত এ বাড়িটি। গত শুক্রবার পরিদর্শনকালে দেখা যায় কোনোরকমে আটকে রাখা হয়েছে বাড়ির মূল ফটকটি। ফটক দিয়ে ভেতরে দেখা যায়- ভাঙচুর ও আগুনে পোড়ার ক্ষত-বিক্ষত চিত্র।
জানা গেছে, গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের মুখে পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর তীব্র জনরোষের শিকার হয় এ ভিভিআইপি বাড়িটি। চলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে সাতবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক তার এলাকায় তিনবার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও তার ছোট ভাই রাসেল আহমেদ তুহিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা চালানো-মদদের মামলা হয়। এ কারণে দৃশ্যত তারা সবাই আত্মগোপনে থাকায় এমন পরিস্থিতির শিকার কিশোরগঞ্জ শহরের এ বাড়িটি।