Logo
Logo
×

সারাদেশ

নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্কের রাত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৮ এএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্কের রাত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও ভেসে এসেছে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ। স্থানীয়রা বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্টির মধ্যে চলছে এই সংঘর্ষ। আর এর জের ধরে আবারও আতংকে রাত পার করছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার ৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন মিয়ানমার অভ্যন্তরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ঘুমধুমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সন্ধ্যায় তার ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে আকস্মিক ভেসে আসতে শুরু করে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ। এ সময় আধঘন্টা ধরে অন্তত ২ শতাধিক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। যা স্থানীয়দের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করে।

আবার গোলাগুলির শঙ্কায় অনেকেই রাত জেগে পার করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্টিগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাতের ঘটনায় কথা তুলে ধরে এই ইউপি সদস্য বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় আরসা, আরএসও, এআরএ ও ইসলামী মাহাসসহ রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো সীমান্তের ওপারে সংঘাত চলমান।’

স্থানীয়রা ধারণা করছেন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে সক্রিয় আরএসও এর সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি।’

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার অভ্যন্তরে সংঘটিত গোলাগুলির শব্দ শোনার বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন, বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।

তিনি বলেন, ‘রাতে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসার খবরটি শুনে সীমান্ত পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছি। এটা মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেশটির সশস্ত্র গোষ্টিগুলোর মধ্যে সংঘাতের জেরে ঘটতে পারে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তের বাসিন্দাদের আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ  দিয়ে খায়রুল আলম বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবির সতর্কতার সাথে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এপারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

এর আগে গত ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের পাশাপাশি উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার