Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর : হাসপাতালে মৃত্যু

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর : হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে এক যুবককে মারধরের আট ঘণ্টা পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টার দিকে আবু হানিফ নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন জানান।

৩০ বছর বয়সী হানিফ বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তিনি পেশায় নিরাপত্তা প্রহরী।

স্থানীয় কয়েকজন লোক বিকাল ৩টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে চলে যান বলে জানান চিকিৎসক।

তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ৬টায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসে। তার শরীর ও মাথায় গুরুতর জখম ছিল।”

সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “দুপুর ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাকে মারধর করা হয়।”

হানিফের মেজো বোন রাবেয়া বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কিছু ছেলে বাসায় এসে তার ভাইকে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়।

“আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে, তার কিছুই আমরা জানি না।”

নিহতের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, “শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। আমি আইসা বাসায় কাউরে পাই নাই। পরে আবারও ফোন দিলে আবার আসি। তখন দেখি, আমার ওয়াইফরে ধমকাইয়া বাসা থেকে নামাইতেছে।

“পরে তারা আমাকেও ধইরা খানপুরে ওয়াসার অফিসের সামনে নিয়া আসে। তখন দেখি, আমার সম্মুন্ধিরে (হানিফ) ওয়াসার ভিতরে বসায়া রাখসে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। কিছুক্ষণ পরে তারা হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চইলা যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।”

হানিফ খানপুরেরই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে স্বজনরা জানান।

হাসপাতাল চত্বরে কাঁদতে কাঁদতে তার বাবা আবুল কালাম বলেন, “আমার ছেলে ক্রাইম করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেললো কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।”

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির বলেন, এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

“ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ কাজ করছে।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার