বগুড়ায় সারজিস আলমের অনুষ্ঠান ঘিরে ককটেল নিক্ষেপ

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সমন্বয় সভায় চলাকালে মিলনায়তনের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দলের উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের উপস্থিতি ছিলেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া জেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জিলা পরিষদের পিছন সংলগ্ন ভবন থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ অবিস্ফোরিত অন্য ককটেলটি উদ্ধার করে সেটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বালতির পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
তবে ককটেল বিস্ফোরণে এনসিপির সভায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সভা শেষে সারজিস আলম নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এর পরপরই স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এনসিপি নেতারা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের দাবি, সভার জন্য বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি, যার ফলেই সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
তবে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, জিলা পরিষদ চারদিকে নিরাপত্তা দেওয়ালে ঘেরা। এর ভিতরে সভা চলছিল। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ জিলা পরিষদের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। জিলা পরিষদের পিছন সংলগ্ন ভবন থেকে কে বা কারা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা সমন্বয় সভার আগে বেলা পৌনে তিনটার দিকে সারজিস আলম শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, মানুষ এখনো জুলাই অভ্যুত্থানের কথা শুনলে শিউরে ওঠে। এই দেশের মানুষের সামনে নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা মন্তব্য করেন, বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে, তা জোট সরকারের মাধ্যমেই করেছে। জামায়াতও কখনো শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি, আগামীতে আ’লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় এনসিপির রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।
তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও খুনিদের বিচারের জন্য কাজ করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদীর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া জেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জিলা পরিষদের পিছন সংলগ্ন ভবন থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ অবিস্ফোরিত অন্য ককটেলটি উদ্ধার করে সেটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বালতির পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
তবে ককটেল বিস্ফোরণে এনসিপির সভায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সভা শেষে সারজিস আলম নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এর পরপরই স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এনসিপি নেতারা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের দাবি, সভার জন্য বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি, যার ফলেই সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
তবে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, জিলা পরিষদ চারদিকে নিরাপত্তা দেওয়ালে ঘেরা। এর ভিতরে সভা চলছিল। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ জিলা পরিষদের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। জিলা পরিষদের পিছন সংলগ্ন ভবন থেকে কে বা কারা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা সমন্বয় সভার আগে বেলা পৌনে তিনটার দিকে সারজিস আলম শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, মানুষ এখনো জুলাই অভ্যুত্থানের কথা শুনলে শিউরে ওঠে। এই দেশের মানুষের সামনে নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা মন্তব্য করেন, বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে, তা জোট সরকারের মাধ্যমেই করেছে। জামায়াতও কখনো শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি, আগামীতে আ’লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় এনসিপির রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।
তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও খুনিদের বিচারের জন্য কাজ করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদীর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।