টর্চের আলো জ্বেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আকাশে তখনও ঘন আঁধার। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু মাঝে মাঝে কুকুরের ডাকে ভেসে আসছে রাতের নীরবতা। কিন্তু সেই নীরবতাই আচমকা ভেঙে গেল চিৎকার আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শব্দে। টর্চলাইটের ফাঁকা আলোয় ঝলসে উঠল লাঠি, দা আর টেঁটার ঝিলিক—রাতারাতি রণক্ষেত্রে পরিণত হলো পুরো গ্রাম।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে হাওলাপাড়া গ্রামের যুবক তাইম তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে পাশের ছোট দেওয়ানপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎই এসে হাজির হয় ছোট দেওয়ানপাড়ার শাকিল, শিপন ও তার সঙ্গীরা। ওই সময় তাদের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি । একসময় তা হাতাহাতিতে গড়ায়। তাইম ও তার বন্ধুরা মার খেয়ে ফিরে আসে নিজ গ্রামে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামে। কেউ বলে, “ওরা আমাদের ছেলেদের মেরেছে,” আবার কেউ বলে, “আমরা ছাড় দেব না।” চোখে ঘুম নেই কারও। রাত বাড়তেই শুরু হয় প্রস্তুতি—কেউ টেঁটাতে শান দিচ্ছে, কেউ লাঠি যোগাড় করছে, কেউ আবার টর্চে নতুন ব্যাটারি লাগাচ্ছে।
রাত দশটার দিকে যখন চারপাশের আলো নিভে গেছে, তখন টর্চের আলো জ্বেলে দুই দিক থেকে এগিয়ে আসে মানুষ। মুহূর্তেই শুরু হয় সংঘর্ষ। টর্চের আলোয় একে অপরকে চেনার চেষ্টা, তারপরই ঝাঁপিয়ে পড়া—চিৎকার, দৌড়, ইটপাটকেল আর গালাগালিতে ভরে ওঠে চারপাশ। নারীরা দরজা জানালা বন্ধ করে আশ্রয় নেয়।
প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। কেউ মাথায়, কেউ হাতে, কেউবা শরীরে গভীর ক্ষত নিয়ে গড়িয়ে পড়ে মাটিতে। এরপর খবর যায় থানায়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, “খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে হাওলাপাড়া গ্রামের যুবক তাইম তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে পাশের ছোট দেওয়ানপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎই এসে হাজির হয় ছোট দেওয়ানপাড়ার শাকিল, শিপন ও তার সঙ্গীরা। ওই সময় তাদের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি । একসময় তা হাতাহাতিতে গড়ায়। তাইম ও তার বন্ধুরা মার খেয়ে ফিরে আসে নিজ গ্রামে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামে। কেউ বলে, “ওরা আমাদের ছেলেদের মেরেছে,” আবার কেউ বলে, “আমরা ছাড় দেব না।” চোখে ঘুম নেই কারও। রাত বাড়তেই শুরু হয় প্রস্তুতি—কেউ টেঁটাতে শান দিচ্ছে, কেউ লাঠি যোগাড় করছে, কেউ আবার টর্চে নতুন ব্যাটারি লাগাচ্ছে।
রাত দশটার দিকে যখন চারপাশের আলো নিভে গেছে, তখন টর্চের আলো জ্বেলে দুই দিক থেকে এগিয়ে আসে মানুষ। মুহূর্তেই শুরু হয় সংঘর্ষ। টর্চের আলোয় একে অপরকে চেনার চেষ্টা, তারপরই ঝাঁপিয়ে পড়া—চিৎকার, দৌড়, ইটপাটকেল আর গালাগালিতে ভরে ওঠে চারপাশ। নারীরা দরজা জানালা বন্ধ করে আশ্রয় নেয়।
প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। কেউ মাথায়, কেউ হাতে, কেউবা শরীরে গভীর ক্ষত নিয়ে গড়িয়ে পড়ে মাটিতে। এরপর খবর যায় থানায়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, “খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”