
বগুড়ার গাবতলীতে শারমিন আক্তার (২২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামে শয়ন ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে।
গাবতলী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর অভিমানে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শারমিন আক্তার বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রবলাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে। প্রায় তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামের শামীম হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শামীম চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়ায় যান। বাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও গৃহবধূ শারমিন আক্তার থাকতেন।
শ্বশুর ও শাশুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে শারমিন আক্তার একাই ছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ির শয়ন ঘরে আড়ার সঙ্গে তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে গাবতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে গাবতলী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শারমিন আক্তার ভিডিও কলে প্রবাসী স্বামী শামীম হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন শারমিন আত্মহত্যা করবেন বলে তার স্বামীকে জানান। এরপর শারমিন ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। শামীম বিষয়টি শ্বশুর রেজাউল করিমকে অবহিত করেন। শুক্রবার সকালে শয়ন ঘরে শারমিনের বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
এসআই জাহিদুল ইসলাম আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে এটি আত্মহত্যা না হত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর বাবা রেজাউল করিম গাবতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন।