পঞ্চগড়ের তিনটি কলেজে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে এক কলেজে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে না পারায় পরীক্ষার ফলাফলে কেউই সফল হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। তাতে দেখা যায়, জেলার বোদা ও তেঁতুলিয়া উপজেলার তিনটি কলেজ থেকে কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।

কলেজ তিনটি হলো- বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তামিজ উদ্দীন কলেজ।

বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ৪ জন ছিলেন অনুপস্থিত। বাকিরা কেউই পাস করতে পারেননি। 

কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ভর্তি হওয়ার পরপরই মেয়েদের একে একে বিয়ে হয়ে গেছে। ফলে তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেনি, এজন্য পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।

মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমাদের কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখা গত ১৪ বছর ধরে এমপিওভুক্ত নয়। চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো নিয়মিত শিক্ষকও নেই। শিক্ষক না থাকায় পাস করতে পারেনি।

অন্যদিকে তেঁতুলিয়ার আলহাজ তামিজ উদ্দীন কলেজে ৪ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও ২ জন পরীক্ষা দেয়নি।

কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী বলেন, দুইজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আমরা মনে করি, তাদের অন্তত একজন পাস করার কথা ছিল। ফলাফলে অসংগতি থাকতে পারে, বোর্ড চ্যালেঞ্জ করব।

এ বিষয়ে বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, আমি ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে অফিসিয়ালি কারণ জানতে চাইব- কেন কেউ পাস করতে পারেনি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর না হয়।