মঞ্চে ছাত্রলীগ নেতা, দর্শকসারিতে বেরোবি উপাচার্য

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে পরিবেশনা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আবির। দর্শক সারিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর উপস্থিতিতে মঞ্চ মাতান এই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা। এসময় জুলাইয়ের চেতনা লালনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে মঞ্চ ত্যাগ করতে বাধ্য হন আবির।
জানা যায়, রোববার (১২ অক্টোবর ) বেরোবির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী মঞ্চের বিপরীতে দর্শকদের আসনে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আবিরের মঞ্চে উপস্থিনি সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে বেরোবি উপাচার্য শওকাত আলী শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের এই নেতা বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। এমন একজন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে, বিশেষ করে উপাচার্যের উপস্থিতিতে মঞ্চে স্থান দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতার মঞ্চে উঠে গান গাওয়ার ঘটনা আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে দেখছি। উপাচার্যের সামনেই তার মঞ্চে স্থান পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, গান গাওয়ার মূল কমিটিতে আবিরের নাম ছিল না। এছাড়া এর আগেও কয়েকটা প্রোগ্রামে আবির গান গেয়েছেন তখন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেনি কেন? একটা মহল প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না, আমরা বিষয়টি মাথায় রাখছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনোই তাকে মঞ্চে গান গাইতে দেওয়া হবে না। আমার তো অবাক লাগে শিবির, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এত সমন্বয়ক কেউ প্রতিবাদ করলো না, বরং সমন্বয়করা ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য প্রোমোট করেছে।
জানা যায়, রোববার (১২ অক্টোবর ) বেরোবির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী মঞ্চের বিপরীতে দর্শকদের আসনে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আবিরের মঞ্চে উপস্থিনি সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে বেরোবি উপাচার্য শওকাত আলী শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের এই নেতা বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। এমন একজন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে, বিশেষ করে উপাচার্যের উপস্থিতিতে মঞ্চে স্থান দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতার মঞ্চে উঠে গান গাওয়ার ঘটনা আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে দেখছি। উপাচার্যের সামনেই তার মঞ্চে স্থান পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, গান গাওয়ার মূল কমিটিতে আবিরের নাম ছিল না। এছাড়া এর আগেও কয়েকটা প্রোগ্রামে আবির গান গেয়েছেন তখন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেনি কেন? একটা মহল প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না, আমরা বিষয়টি মাথায় রাখছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনোই তাকে মঞ্চে গান গাইতে দেওয়া হবে না। আমার তো অবাক লাগে শিবির, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এত সমন্বয়ক কেউ প্রতিবাদ করলো না, বরং সমন্বয়করা ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য প্রোমোট করেছে।