শিবির নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ এএম

সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দেলুয়াকান্দি গ্রামে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মিজানুর রহমান (২২) নামের এক শিবির নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে মিজানের মৃত্যু হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পরলে রাতেই খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
নিহত মিজানুর দেলুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে ও বেলকুচির ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন উত্তর উপশাখা শিবির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর উত্তর চন্দনগাঁতী গ্রামের একদল নেশাগ্রস্ত যুবক হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিজানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার একটি ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আইসিইউতে মৃত্যু হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে স্থানীয়রা এবং সকালে সহপাঠীরা বিক্ষোভ করেন। এছাড়া রোববার বাদ আছর বেলকুচি বাহেল খাতুন জামে মসজিদ চত্বর থেকে উপজেলা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
মিছিল শেষে মুকুন্দগাতি যাত্রী ছাউনি চত্বরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি রেজওয়ান উল্লাহ শরীফ, বায়তুলমাল সম্পাদক এরশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল শিবিরের সাবেক সভাপতি ডাক্তার সেরাজুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা সভাপতি হাফেজ ইউসুফ বাবু ও সেক্রেটারি আরিয়ান ইসমাইলসহ নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে যিনি সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন, সেই মিজানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মিজান শান্ত স্বভাবের ও মেধাবী তরুণ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ২০২৩ সালে বেলকুচি মডেল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। তিনি মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। এতে এলাকায় গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মিজানুর রহমানের লাশ ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেলুয়াকান্দি উত্তরপাড়ার বাড়িতে আনা হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।