হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ : অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিশোরীর মৃত্যু

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি আবাসিক হোটেলে রাতভর ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
মামলার পর আজ শনিবার আটক দুজনকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত কিশোরীর (১৭) বাড়ি গাইবান্ধায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ‘আব্দুল মান্নান প্লাজা’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মমিনুল ইসলাম মোহন ও আতিকুর রহমান নামের দুই যুবক কিশোরীকে নিয়ে হোটেলে ওঠেন। সেখানে মমিনুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
পরে মমিনুল ও তার সহযোগী আতিকুর কিশোরীকে একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তারা একটি অটোরিকশা ভাড়া করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পথে রওনা দেন। পথে শুক্রবার ভোরে কিশোরী মারা যায়। তখন অ্যাম্বুলেন্সচালক কৌশলে গাড়িটি ঘুরিয়ে মির্জাপুর থানায় নিয়ে যান। পুলিশ দুজনকে আটক করে এবং পরে কালিয়াকৈর থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ মির্জাপুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে মমিনুল ইসলাম মোহন (২২) ও আতিকুর রহমানকে (২৩) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক মমিনুল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার উত্তর সাজুরিয়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে। আতিকুর পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচূড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
আটক দুজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুজনই সাভারের আশুলিয়া এলাকায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেখানে কিশোরীর সঙ্গে মমিনুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলছিল।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।