পাবনায় ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৪ এএম

পাবনার সুজানগর উপজেলার মথুরাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দীর্ঘ ৩৪ বছর ইমামতি করার পর ফুলে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিয়েছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন এলাকাবাসী। এর পাশাপাশি তাকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী দেয় মসজিদ পরিচালনা কমিটি। এতে অংশ নেন স্থানীয়রাও।
৬৭ বছর বয়সী ইমাম আলহাজ আব্দুল মান্নান একই উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে মথুরাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তার সম্মানে এ ব্যতিক্রমধর্মী বিদায়ের আয়োজন করা হয়।
ইমামকে বিদায় জানাতে শুক্রবার সকাল থেকেই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন স্থানীয়রা। ইমামের বিদায়ে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে ইমামকে ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইমাম সারাজীবন সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকেছেন। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার চলাফেরা ও ব্যহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তার দেওয়া দ্বীনি শিক্ষায় অনেকেই সঠিক দিশা পেয়েছেন। তাই তার সম্মান স্বরূপ এমন বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তারা। পরিশেষে তার অবসর জীবনের সুস্বাস্থ্যে ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন স্থানীয়রা।
মথুরাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ হাতেম আলী খান বলেন, তিনি শুধু ইমামতি করেননি। তিনি আমাদের জীবনের নানা দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সমাজের মানুষকে দ্বীনের পথে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার দীর্ঘ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মান জানাতে আমরা এ আয়োজন করেছি।
আবেগজড়িত কণ্ঠে ইমাম আলহাজ আব্দুল মান্নান বলেন, জীবনের বড় একটি অংশ এই মসজিদ আর গ্রামের মানুষের সঙ্গে কেটেছে। আমি সারা জীবন দিনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও গ্রামবাসী আমাকে এতটা ভালোবাসেন এবং মন থেকে সম্মান করেন, এটি ভেবে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন এলাকাবাসী। এর পাশাপাশি তাকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী দেয় মসজিদ পরিচালনা কমিটি। এতে অংশ নেন স্থানীয়রাও।
৬৭ বছর বয়সী ইমাম আলহাজ আব্দুল মান্নান একই উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে মথুরাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তার সম্মানে এ ব্যতিক্রমধর্মী বিদায়ের আয়োজন করা হয়।
ইমামকে বিদায় জানাতে শুক্রবার সকাল থেকেই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন স্থানীয়রা। ইমামের বিদায়ে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে ইমামকে ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইমাম সারাজীবন সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকেছেন। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার চলাফেরা ও ব্যহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তার দেওয়া দ্বীনি শিক্ষায় অনেকেই সঠিক দিশা পেয়েছেন। তাই তার সম্মান স্বরূপ এমন বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তারা। পরিশেষে তার অবসর জীবনের সুস্বাস্থ্যে ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন স্থানীয়রা।
মথুরাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ হাতেম আলী খান বলেন, তিনি শুধু ইমামতি করেননি। তিনি আমাদের জীবনের নানা দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সমাজের মানুষকে দ্বীনের পথে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার দীর্ঘ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মান জানাতে আমরা এ আয়োজন করেছি।
আবেগজড়িত কণ্ঠে ইমাম আলহাজ আব্দুল মান্নান বলেন, জীবনের বড় একটি অংশ এই মসজিদ আর গ্রামের মানুষের সঙ্গে কেটেছে। আমি সারা জীবন দিনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও গ্রামবাসী আমাকে এতটা ভালোবাসেন এবং মন থেকে সম্মান করেন, এটি ভেবে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।