বিএনপি নেতার বাড়িতে চুরির অভিযোগ, সালিশের পর মিললো তরুণের মরদেহ

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চুরির দায়ে জাফর (১৮) নামে এক তরুণকে সালিশ বৈঠকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোহেল মাহমুদ নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকা থেকে ওই তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. জাফর ২ নম্বর চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকার মো. জাকেরের ছেলে।
অপরদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদ হাতিয়া উপজেলার ২ নম্বর চানন্দি ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফর গত সপ্তাহে বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদের বাড়িতে মাসিক চুক্তিতে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। ২-৩ দিন কাজ করে সে কাউকে না জানিয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এসময় সোহেল মাহমুদের বাড়ি থেকে তাদের ঘরের আলমারির চাবি, মোবাইল চার্জার ও আসবাবপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে।
এরই জেরে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলি বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে মোটরসাইকেলে প্রকল্প বাজার এলাকায় নিয়ে যান সোহেল মাহমুদ। সেখানে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসময় জাফরের বাবা জাকেরকেও ডাকা হয়। পরে তার বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে জাফরকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু শনিবার সকালে প্রকল্প বাজারের প্রধান সড়কের পাশে মরদেহ ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী।
নিহতের বাবা মো. জাকের বলেন, আমার ছেলেকে মিথ্যা চুরির অভিযোগে আটকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকতো, তাকে আমি শাসন করতে পারতাম। তারা ছেলেকে কেন আমার হাতে ছেড়ে দেয়নি? কেন আটকে রেখেছে? আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে ছেলেটা আমার বাড়িতে কাজ করতো। সে আমার ঘর থেকে চাবি, মোবাইলের চার্জারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে হাতিয়ার আলী বাজার থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর বেশি আমি কিছু জানি না। আজ সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।
হাতিয়ার মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকা থেকে ওই তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. জাফর ২ নম্বর চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকার মো. জাকেরের ছেলে।
অপরদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদ হাতিয়া উপজেলার ২ নম্বর চানন্দি ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফর গত সপ্তাহে বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদের বাড়িতে মাসিক চুক্তিতে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। ২-৩ দিন কাজ করে সে কাউকে না জানিয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এসময় সোহেল মাহমুদের বাড়ি থেকে তাদের ঘরের আলমারির চাবি, মোবাইল চার্জার ও আসবাবপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে।
এরই জেরে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলি বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে মোটরসাইকেলে প্রকল্প বাজার এলাকায় নিয়ে যান সোহেল মাহমুদ। সেখানে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসময় জাফরের বাবা জাকেরকেও ডাকা হয়। পরে তার বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে জাফরকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু শনিবার সকালে প্রকল্প বাজারের প্রধান সড়কের পাশে মরদেহ ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী।
নিহতের বাবা মো. জাকের বলেন, আমার ছেলেকে মিথ্যা চুরির অভিযোগে আটকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকতো, তাকে আমি শাসন করতে পারতাম। তারা ছেলেকে কেন আমার হাতে ছেড়ে দেয়নি? কেন আটকে রেখেছে? আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে ছেলেটা আমার বাড়িতে কাজ করতো। সে আমার ঘর থেকে চাবি, মোবাইলের চার্জারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে হাতিয়ার আলী বাজার থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর বেশি আমি কিছু জানি না। আজ সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।
হাতিয়ার মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।