ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ, ৩ কিশোর কারাগারে

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক গৃহবধূকে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেফতার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলার পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষিত ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ একজন প্রতিবন্ধী। তার দৃষ্টিতে সমস্যা। ঘটনার দিন ২ অক্টোবর ধর্ষণকারী ওই তিন কিশোরের কুনজর পড়ে গৃহবধূর উপর। এরপর ওই তিন কিশোর বলে- তোমার ছাগল চুরি করে নিয়ে গেছে। তোমার ছাগল পেতে হলে আমাদের সাথে যেতে হবে।
পরে স্থানীয় লিচু মিয়ার পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তিন কিশোর। এ সময় ভুক্তভোগীকে বিষয়টি না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। ঘটনার একদিন পর (৩ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ওই নারী ঘটনাটি তার মায়ের কাছে জানায়। পরে তার মা নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা আমলে নিয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়ার জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধীর মা বলেন, আমার মেয়ের একমাস আগে বিয়ে হয়ছিলো। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ না যেতেই ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে। এরই মধ্যে আমার মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। এখন আমি কার কাছে বিচার দিমু। আমার মেয়েটারে কে বিয়া করব।
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, মেয়েটিকে ছাগল চুরির কথা বলে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন কিশোর। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করেছেন।