Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্কুলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পেলেন রাজকীয় বিদায়

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:৪৮ এএম

স্কুলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পেলেন রাজকীয় বিদায়
৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় পেলেন ফেনীর ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সন্তোষ লাল। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সহকর্মীস হ সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নেন সুসজ্জিত গাড়িতে। রোববার (২২ জুন) তার বিদায় উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়।

এদিন তার বিদায়কে ঘিরে আয়োজকরা একটি প্রাইভেটকার ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করেন। বিদায় সংবর্ধনায় ফুলের মালা পরিয়ে নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী হাতে তুলে দেন তারা। পরে তাকে ফুল সুসজ্জিত প্রাইভেটকারে বসিয়ে রাজকীয় সম্মানে পৌঁছে দেন বাড়িতে।

এমন বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সন্তোষ লাল। তিনি বলেন, এমন আয়োজনে অনেক আনন্দিত। পাশাপাশি স্কুল ছেড়ে যাওয়াতে খারাপ লাগছে। আমার মতো একজন মানুষকে এভাবে সবাই সম্মান জানিয়ে বিদায় দেবে এটি কখনো ভাবিনি। এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। দীর্ঘদিন এ বিদ্যালয়ে ছিলাম, অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেগুলো আঁকড়ে ধরে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।

জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে মা সুন্দরী রানীর হাত ধরে মাত্র ৯-১০ বছর বয়সে এ বিদ্যালয়ে আসেন সন্তোষ লাল। পরে বাবা কানু লালও যোগ দেন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে। সেই উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তোষ ও তার স্ত্রী সনজু রানী দীর্ঘ বছর ধরে স্কুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিন মেয়ের জনক সন্তোষ লাল বর্তমানে ফেনী পৌরসভার সুলতানপুরে বসবাস করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার মতো এমন নিবেদিত মানুষকে আমরা বিদায় দিতে পেরেছি এটিই সবচেয়ে বেশি আনন্দের। বিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি বর্তমান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে সন্তোষ লালকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুলের প্রভাতী ও দিবা শাখার শিক্ষার্থী এবং সাবেক সেন্ট্রালিয়ানরাও নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, তিনি সন্তোষ দা হিসেবেই সকলের আপন হয়ে উঠেছিলেন। তার পরিবারও এ বিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয় তাদের আজীবন স্মরণ করবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার