বগুড়ায় আলোচিত শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকারকে একটি হত্যা মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এএসআই আবু জাফর রোববার বিকালে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চান।

এর আগে মতিনকে আদালতে হাজির করার সময় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ফাঁসির স্লোগান দিয়ে পুলিশের সামনে তার উপর ডিম নিক্ষেপ ও মারপিট করেন। এছাড়া তাকে দেখতে আসা শ্যালক মিল্লাতকে বেধড়ক মারপিট করে পুলিশে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট বিকালে শহরের সাতমাথায় সদরের হরিগাড়ী ইসলামপুর এলাকার স্কুলশিক্ষক সেলিম হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে তার বাবা সেকেন্দার আলী ১৬ আগস্ট সদর থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আবদুল মতিন সরকার ৫০ নম্বর আসামি। ডিবি পুলিশের একটি দল শনিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মতিনকে গ্রেফতার করে।

রোববার বিকাল ৩টার পর পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় আবদুল মতিনকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। হত্যা মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক মেহেদী হাসান শুনানি শেষে ছয়দিনের মঞ্জুর করেন। এর আগে ডিবি অফিস থেকে আদালত চত্বরে আনলে ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আবদুল মতিনের ওপর হামলা করা হয়। ডিম নিক্ষেপ ও তাকে মারপিট করা হয়।

এ সময় মতিনকে দেখতে আসা তার শ্যালক শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মিল্লাতকে ধাওয়া করে বেদম মারপিট করা হয়েছে। পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া মতিনের লোক সন্দেহে এক ইউটিউবারকেও মারপিট করা হয়েছে।

বগুড়ার ওসি ডিবি ইকবাল বাহার জানান, আবদুল মতিনকে আদালতে আনার সময় উত্তেজিত জনগণ ডিম নিক্ষেপ করেন। তাকে মারপিটের চেষ্টা করা হয়। ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর মতিনকে আদালত থেকে আনা হয়েছে।