নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমরা পরিকল্পনা করছি শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় নির্ধারিত জায়গায় পোর্ট হবে। বাকি জায়গায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির (পর্যটন কেন্দ্র) একটি পরিকল্পনা আছে। সেটি বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে। বিআইডব্লিউটিএর যেহেতু কোনো ফোর্স নেই, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করবে। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্ট নির্মাণে সরকারের অর্থায়নের পরিকল্পনাই বেশি। পর্যটন যেটা হবে সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চান করতে পারেন। না হলে সরকারই পুরো ব্যায় নির্বাহ করবে। এখানে যাতে বিআইডব্লিউটিএ এর জায়গায় পোর্টটা হবে পোর্টের জায়গা ছাড়া যে জায়গাটা রয়েছে সেটি কীভাবে সুন্দর করা যায় নদীর পারে যাতে লোকজন আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে। এখানে পোর্ট হলে মুন্সীঞ্জের মানুষের জন্য আশের পাশের মানুষের জন্য একটা কর্মযজ্ঞ হবে।  রোববার (২২ জুন) বিকেলে শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৫ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ ডিআইজি মো.রেজাউল করিম মল্লিক, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার ও লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন প্রমুখ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুলিয়া ঘাটে হবে-নদী থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন জীব-জন্তু নিয়ে রিভার মিউজিয়াম, নদীর পাড়ে রাতযাপনের জন্য ইকো রিসোর্ট, অবকাশ যাপনের জন্য সুইমিং পুল, শিশুদের উপভোগ্য কিডস জোন, শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন ইত্যাদি।

প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করতে চায় বিআইডব্লিউটিএ।