Logo
Logo
×

সারাদেশ

এনসিপিতে পদ পাওয়া নারী জানালেন, তিনি রাজনীতিই করেন না

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:৪৪ এএম

এনসিপিতে পদ পাওয়া নারী জানালেন, তিনি রাজনীতিই করেন না
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্ট (এনসিপি) সমন্বয় কমিটিতে পদ পাওয়া একজন নারী দাবি করেছেন, তিনি কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই কমিটিতেও তিনি কোনোভাবেই যুক্ত ছিলেন না। এমনকি কমিটিতে নাম দেওয়ার আগে তাকে জানানোও হয়নি।
শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।

সামিয়া সুলতানা শারমীন নামের ওই নারীকে উপজেলা এনসিপির কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নালিতাবাড়ী উপজেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়।

কমিটি প্রকাশের পর গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে সামিয়া সুলতানা শারমীন লেখেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখিতে পারলাম যে সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সমন্বয়কের সদস্যে আমার নাম। আমি কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না এবং আমি এই কমিটির সঙ্গেও কোনোভাবে জড়িত না। কে বা কারা আমার নাম এই কমিটিতে দিয়েছে। আমি এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। প্রয়োজনে এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামিয়া সুলতানা শারমীন বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। তারা কোথা থেকে আমার নাম দিলো। আমার অনুমতি ছাড়া আমার নাম, মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছে। আমি একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী। আমাকে এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে যারা ফেলেছে আমি তাদের শাস্তি চাই।’

এদিকে কমিটিতে উপজেলার গুজাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিরত অবস্থায় জুবায়ের আহাম্মেদকে প্রধান সমন্বয়কারী, শহর যুবলীগের ক্রিড়া সম্পাদক রকিবুল হাসান রকিকে সদস্যসহ আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী কমিটিতে স্থান পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ওই সদস্যদের তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেও নিন্দা জানাচ্ছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা এনসিপির ১নং সদস্য আরিফ সাফফারী বলেন, ‘বিষয়গুলো আমরা জেনেছি। এ নিয়ে আমাদের ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার