Logo
Logo
×

সারাদেশ

৬ দিন পর গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

৬ দিন পর গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
নরসিংদীর পলাশে বিএনপি -ছাত্রদল দু'পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন মরহুমের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

নিহত ঈসমাইল হোসেন (২৬) পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, আজ দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈসমাইল মৃত্যুর হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। আজ রাতেই নরসিংদীর পলাশে নিজ এলাকায় ঈসমাইলকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন আব্দুর রহিম ভুঁইয়া।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. নাজমুল হোসেন সোহেল জানান, ইসমাইল ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজন গুলিবর্ষণ করে। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মারা গেছে। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তার গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর পাপন বলেন, নিহত ঈসমাইল হোসেন আমাদের কর্মী ছিলেন। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ জুন আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং পাশাপাশি ঈসমাইল হত্যায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, আহত ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে, আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় রোববার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে, জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার