স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে জুতাপেটা, গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

নড়াইলের লোহাগড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্বামী-স্ত্রীকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হয়েছে। এরপর দুজনকেই গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাতব্বররা। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১৭ জুন) উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসি গ্রামে। বিষয়টি শুক্রবার (২০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা গেছে, বাতাসি গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিনের (৩০) স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি ওই নারী স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে চলে যান। কিছুদিন পর তিনি আবার নিজামুদ্দিনের ঘরে ফিরে আসেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় মাতব্বর শহীদ খানের নেতৃত্বে গত বুধবার (১৭ জুন) শহীদ খানের বাড়িতে সালিস বসে।
সালিশ বৈঠকে স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে স্বামী নিজামুদ্দিনকে জুতাপেটা করা হয়। এরপর স্বামীকে দিয়ে স্ত্রীকে জুতাপেটা করা হয়। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ২০ তারিখের মধ্যে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিজামুদ্দিনের স্ত্রী বলেন, আমাকে যখন জুতাপেটা করা হয়েছিল তখন আমার ছেলে (১০) হাও মাও করে কান্না করছিল। আমাকে না মারার জন্য তাদের অনুরোধ করছিল। কিন্তু আমার ছেলের কথা তারা শুনে নাই। ছেলের সামনে আমাদের জুতাপেটা করা হয়।
তবে তার স্বামী নিজামুদ্দিনের ঝামেলার ভয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
সালিসে উপস্থিত ছিলেন বাতাসি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান। তিনি বলেন, গত বুধবার নিজামের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রামে সালিশ বসে। সেখানে নিজামের স্ত্রীকে ১০টি এবং নিজামকে ২০টি জুতার বাড়ি দেওয়া হয়। এরপর তাদের গ্রাম ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই সালিসটি একেবারেই অমানবিক ছিল। আইন অনুযায়ী কাউকে একসঙ্গে জেল ও জরিমানা দেওয়া হয় না। অথচ এখানে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি তাদের গ্রাম ছাড়তেও বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই সঠিক বিচার হতে পারে না। গ্রামের কেউ কিছু বলছিল না, আমিও পেছনে বসে কিছু বলিনি।
এ বিষয়ে গ্রামের মাতব্বর শহীদ খান বলেন, নিজামুদ্দিনের স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। কিছু দিন পর আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন। এ নিয়ে গ্রামে সালিস বসে। সালিসে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে শাস্তিস্বরূপ জুতাপেটা করা হয়। একই সঙ্গে নিজামুদ্দিনকে স্ত্রীসহ গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন,এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, বাতাসি গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিনের (৩০) স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি ওই নারী স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে চলে যান। কিছুদিন পর তিনি আবার নিজামুদ্দিনের ঘরে ফিরে আসেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় মাতব্বর শহীদ খানের নেতৃত্বে গত বুধবার (১৭ জুন) শহীদ খানের বাড়িতে সালিস বসে।
সালিশ বৈঠকে স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে স্বামী নিজামুদ্দিনকে জুতাপেটা করা হয়। এরপর স্বামীকে দিয়ে স্ত্রীকে জুতাপেটা করা হয়। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ২০ তারিখের মধ্যে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিজামুদ্দিনের স্ত্রী বলেন, আমাকে যখন জুতাপেটা করা হয়েছিল তখন আমার ছেলে (১০) হাও মাও করে কান্না করছিল। আমাকে না মারার জন্য তাদের অনুরোধ করছিল। কিন্তু আমার ছেলের কথা তারা শুনে নাই। ছেলের সামনে আমাদের জুতাপেটা করা হয়।
তবে তার স্বামী নিজামুদ্দিনের ঝামেলার ভয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
সালিসে উপস্থিত ছিলেন বাতাসি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান। তিনি বলেন, গত বুধবার নিজামের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রামে সালিশ বসে। সেখানে নিজামের স্ত্রীকে ১০টি এবং নিজামকে ২০টি জুতার বাড়ি দেওয়া হয়। এরপর তাদের গ্রাম ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই সালিসটি একেবারেই অমানবিক ছিল। আইন অনুযায়ী কাউকে একসঙ্গে জেল ও জরিমানা দেওয়া হয় না। অথচ এখানে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি তাদের গ্রাম ছাড়তেও বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই সঠিক বিচার হতে পারে না। গ্রামের কেউ কিছু বলছিল না, আমিও পেছনে বসে কিছু বলিনি।
এ বিষয়ে গ্রামের মাতব্বর শহীদ খান বলেন, নিজামুদ্দিনের স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। কিছু দিন পর আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন। এ নিয়ে গ্রামে সালিস বসে। সালিসে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে শাস্তিস্বরূপ জুতাপেটা করা হয়। একই সঙ্গে নিজামুদ্দিনকে স্ত্রীসহ গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন,এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।