মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ, বিএনপি নেতা বললেন ‘উপকার করতে গেছিলাম’

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। আমিনুর রহমান নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আতাউর রহমান নামে এক চা দোকানি। এদিকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমিনুর রহমান উপজেলা বিএনপির সহ-তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বুধবার (১৮ জুন) রাতে থানায় করা অভিযোগে আতাউর রহমান লিখেছেন, ‘আমার শরীফপুর গ্রামের শেরআলী মার্কেটে চা-কফির দোকান রয়েছে। এই দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করি। অভিযুক্ত আমিনুর মাস্টার আমার এলাকার পূর্ব পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় নিরীহ লোকজনদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন। তিনি গত ১৩ জুন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন ও ইয়াকুব আলীকে পেয়ে জানান, তাদেরসহ আমার বিরুদ্ধে থানায় লিস্ট করা হইছে। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে। আমরা নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।’
‘তখন আমরা জানাই যে, আমরা আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। রাজনীতি করার সময় নেই। তখন আমিনুর মাস্টার জানায় যে, লিস্ট হয়ে গেছে, বাঁচার কোনো উপায় নেই। বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তাকে প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা দিলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দিবে। তখন আমরা জানাই যে, আমরা সাধারণভাবে জীবনযাপন করি। আমরা এত টাকা কোথায় টাকা পাবো? তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, টাকা না দিলে মামলা হবে আমাদের নামে। এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় আমাদের কাছে এসে টাকা দাবি করেন। তখন আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।’
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত আমিনুলের এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই রেকর্ডে অভিযুক্ত আমিনুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো সরল মনে উপকার করতে গেছিলাম, কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কারা যে এগুলো ছড়াইলো। দারোগা তালিকা নিয়া আসার পর আমি জানাইছি নামটা কাটিয়ে ফেলতে। আমি সাদ্দামকে বলছিলাম তোমার নাম কাটাতে চাইলে এমন সুযোগ আছে। তারা যে বাণিজ্য করে তা তো জানি।’
এই বিষয়ে টাকা দাবির অভিযোগ করে সাদ্দাম হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমিনুর মাস্টার আমার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানান থানায় তিনটি মামলার তালিকা হয়েছে আমাদের নামসহ। যদি টাকা-পয়সা দেও তাহলে তোমাদের নাম কাটানো যাবে। তখন আমি প্রতিবাদ করে বলি, কেন আমাদের নামে মামলা হবে? তিনি বলেন, তা জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি গ্রামের অনেককেই তিনি এমন বলেছেন। তিনি গ্রামের ২০-৩০ জনকে বলেছেন টাকা দিলে নাম কাটিয়ে দিবেন। কয়েকজন এরই মধ্যে টাকা দিয়েও দিয়েছেন।‘
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও সৎ মানুষ। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্য এবং আমি যেন পদ না পাই এজন্য আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে এসব করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেকর্ড দিয়ে তারা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। কণ্ঠ আমার হতে পারে। কোনো সময় করলো সেটা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আমিনুর রহমান উপজেলা বিএনপির সহ-তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বুধবার (১৮ জুন) রাতে থানায় করা অভিযোগে আতাউর রহমান লিখেছেন, ‘আমার শরীফপুর গ্রামের শেরআলী মার্কেটে চা-কফির দোকান রয়েছে। এই দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করি। অভিযুক্ত আমিনুর মাস্টার আমার এলাকার পূর্ব পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় নিরীহ লোকজনদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন। তিনি গত ১৩ জুন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন ও ইয়াকুব আলীকে পেয়ে জানান, তাদেরসহ আমার বিরুদ্ধে থানায় লিস্ট করা হইছে। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে। আমরা নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।’
‘তখন আমরা জানাই যে, আমরা আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। রাজনীতি করার সময় নেই। তখন আমিনুর মাস্টার জানায় যে, লিস্ট হয়ে গেছে, বাঁচার কোনো উপায় নেই। বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তাকে প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা দিলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দিবে। তখন আমরা জানাই যে, আমরা সাধারণভাবে জীবনযাপন করি। আমরা এত টাকা কোথায় টাকা পাবো? তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, টাকা না দিলে মামলা হবে আমাদের নামে। এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় আমাদের কাছে এসে টাকা দাবি করেন। তখন আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।’
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত আমিনুলের এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই রেকর্ডে অভিযুক্ত আমিনুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো সরল মনে উপকার করতে গেছিলাম, কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কারা যে এগুলো ছড়াইলো। দারোগা তালিকা নিয়া আসার পর আমি জানাইছি নামটা কাটিয়ে ফেলতে। আমি সাদ্দামকে বলছিলাম তোমার নাম কাটাতে চাইলে এমন সুযোগ আছে। তারা যে বাণিজ্য করে তা তো জানি।’
এই বিষয়ে টাকা দাবির অভিযোগ করে সাদ্দাম হোসেন নামে একজন বলেন, ‘আমিনুর মাস্টার আমার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানান থানায় তিনটি মামলার তালিকা হয়েছে আমাদের নামসহ। যদি টাকা-পয়সা দেও তাহলে তোমাদের নাম কাটানো যাবে। তখন আমি প্রতিবাদ করে বলি, কেন আমাদের নামে মামলা হবে? তিনি বলেন, তা জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি গ্রামের অনেককেই তিনি এমন বলেছেন। তিনি গ্রামের ২০-৩০ জনকে বলেছেন টাকা দিলে নাম কাটিয়ে দিবেন। কয়েকজন এরই মধ্যে টাকা দিয়েও দিয়েছেন।‘
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও সৎ মানুষ। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্য এবং আমি যেন পদ না পাই এজন্য আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে এসব করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেকর্ড দিয়ে তারা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। কণ্ঠ আমার হতে পারে। কোনো সময় করলো সেটা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।