বনবিভাগের ৩ হাজার একরেরও বেশি জমি দখল করেন সাবেক এমপি নুর

জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম

ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। নিজের ক্ষমতাকালে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে দখল করেন
বন বিভাগের তিন হাজার ১৩০ দশমিক ৭৩ একর জমি।
সেই জমিতে গড়ে তুলেন পিকনিক স্পট। কামাই করেন অঢেল সম্পদ। তবে, সময়ের পরিবর্তনে দখলকৃত
বন বিভাগের জমি ক্রোক করেছে সরকার।
ঘটনাটি আওয়ামী লীগ নেতা পীরগঞ্জের সাবেক সংসদ-সদস্য নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের।
আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় বৃহস্পতিবার সাবেক এ এমপিকে কারাগারে
পাঠিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তিন হাজার একর বনের জমিতে পিকনিক স্পট, ৮ ব্যাংক হিসাব ও
৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তোলা হয় নুর মোহাম্মদকে।
ওই সময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন না মঞ্জুর করে বিচারক ফজলে খোদা
মো. নাজির তাকে কারাগারে পাঠান।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন জানান,
নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল
পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ক্ষমতার জোরে বন বিভাগের জমি দখলে করে তিনি ওই
বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে আটটি হিসাবে তার বিপুল পরিমাণ টাকা
গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে।
‘ডিগবাজি’ নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ মণ্ডল ক্ষমতার টিকে থাকতে
বারবার রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করেছেন। জাতীয় পার্টি থেকে দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ভোল পালটে বিএনপির রাজনৈতিক ছায়ায় পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। পরে যুক্ত
হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন
তিনি।
তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় গড়েছেন বিপুল অবৈধ সম্পদ। বন বিভাগের
বিশাল জমি দখল করে তিনি গড়ে তুলেন বিনোদন পার্ক ও লেক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন
সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০ সালে মামলা করা হয়। এতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং
জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।