Logo
Logo
×

সারাদেশ

চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ, বাসচালক আটক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৯:১০ পিএম

চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ, বাসচালক আটক
সিলেট থেকে নবীগঞ্জ ফেরার পথে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। 

স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাসচালক ধর্ষক সাব্বির মিয়াকে (২৭) আটক এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

রোববার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাসচালককে আটক এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং গার্মেন্টকর্মী হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন। রোববার তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহণ’ নামের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়।

সিলেটে পৌঁছার পর ঘুম ভাঙলে ওই কিশোরী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠানো-নামানোর সময় ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে। 

শেরপুর এলাকায় পৌঁছার পর অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে ওই কিশোরী একা হয়ে পড়েন।এরপর চলন্ত অবস্থায় বাসের হেলপার লিটন মিয়া এবং পরে চালক সাব্বির মিয়া পালাক্রমে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছলে কিশোরী জোরে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে বাসচালক সাব্বির মিয়াকে আটক এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।তবে অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে পালিয়ে যায় এবং এখনো পলাতক রয়েছে। 

ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাসচালককে আটক করেছে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার