এনসিপি এলে ৪০, না এলে ২৩ আসনে সমঝোতা করবে বিএনপি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেও শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে পারছে না বিএনপি। এতে জোটের শরিকরা কিছুটা অসন্তুষ্ট।
তারা বলছেন, বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে নেমে গেলে পরে আসন ছাড় দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা স্বীকার করছেন, আসন সমঝোতায় দেরি হলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ফাঁকা থাকা ৬৩টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০টি আসন শরিক দল ও মিত্র জোটকে দেওয়া সম্ভব।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা না হলে শরিকদের জন্য আসন সংখ্যা কমে ২৩টিতে নেমে আসবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শরিকদের আসন নিয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা শরিকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করছেন, তাদের নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেবেন।
শরিক দলের নেতারা বলছেন, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত আসনে প্রতিদিন গণসংযোগ ও শোডাউন করছেন। ফলে শরিকরা নিজেই মাঠে কাজ করতে পারছেন না।
একাধিক নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, একই আসনে প্রচারণা চললে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
নিবন্ধিত কিছু শরিক দলের নেতারা আরও জানিয়েছেন, জোটে থাকলেও তারা নিজের প্রতীক ব্যবহার করতে চান।
কিন্তু বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারণা শুরু করেছেন। ফলে আসন ছাড় দেওয়া হলেও ভোটারের মনে অন্য প্রতীকের পরিচিতি তৈরি করা কঠিন হয়ে যাবে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শরিক দলের প্রার্থিতা নির্ধারণে তাদের অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা, জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ সরকারের সম্ভাব্য ভূমিকা বিবেচনা করা হচ্ছে।