বিএনপি মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতা কীভাবে করবে?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বিএনপি। তারা ইতোমধ্যে ২০০ আসনে একক প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে। বাকি একশ আসনে এখনও প্রার্থী ঠিক করা হয় নি। এই আসনগুলোর কোনো কোনোটি দলের একাধিক যোগ্য প্রার্থী, কোনো কোনোটিতে রাজনৈতিক মিত্রদের শক্ত প্রার্থী রয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করে বিএনপি এসব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনের জটিলতা শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, জোটের সঙ্গেও আছে। যেসব আসনে কোন্দলের আশঙ্কা প্রবল এবং একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী আছে, সেসব আসনে এখনই প্রার্থী চূড়ান্ত করছে না বিএনপি। এছাড়া জোটের শরিকদেরও আসন দিতে হবে। সবমিলিয়ে এরকম আসন রয়েছে একশ।
ফলে এই একশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে বিএনপি।
তবে দলটি নির্বাচনকেন্দ্রিক শরিকদের জন্য কতগুলো আসন ছাড়বে সেটাও এখনও নির্দিষ্ট করা যায়নি। যদিও বিএনপির ভেতরে আলোচনা আছে সর্বোচ্চ পঞ্চাশটি আসন শরিকদের জন্য ছাড়া হতে পারে। কিন্তু সেটা নির্ভর করবে দলগুলো জেতার মতো শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারবে কিনা তার উপর।
‘আমরা মঞ্চের পক্ষ থেকে ১৩৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় হয়তো এখান থেকে একটা শর্টলিস্ট নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। সেটা হতে পারে পঞ্চাশটি বা ষাটটি। এরকম একটা তালিকা থাকবে।’ বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের একজন শীর্ষ নেতা সাইফুল হক।
এর বাইরে অবশ্য আরও দল আছে। গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, বিজেপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন দল যাদের সঙ্গে এখনও আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
তবে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি বা নির্বাচনি সমঝোতা নিয়ে এনসিপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে।
এছাড়া বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে মন্ত্রিসভায় এনসিপির প্রতিনিধি রাখা হবে-এমন কথাও বলা হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি। আসন প্রস্তাব ও মন্ত্রিসভায় এনসিপিকে রাখার বিষয়ে বিএনপি এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি।