Logo
Logo
×

রাজনীতি

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির প্রয়াত নেতাদের সন্তানরাও

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির প্রয়াত নেতাদের সন্তানরাও

এবার দলের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন প্রয়াত বিএনপি নেতাদের পরিবারের সদস্যরাও। পারিবারিক পরিচয়ের বাইরেও রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিচিত করে তুলেছেন, প্রমাণ দিয়েছেন যোগ্যতার। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, পারিবারিক পরিচয় থাকলেও প্রার্থীদের যোগ্যতা, ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের সংস্কৃতি। নেতার উত্তরাধিকার হিসেবে সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার উদাহরণ রয়েছে অনেক।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে গণসংযোগ করছেন নেতাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অনেকেই বিগত বছরগুলোতে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন নিজ নিজ এলাকায়। আবার কেউ কেউ ৫ আগস্টের পর আলোচনায় এসেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত আ.স.ম. হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান বাবার পথ ধরে রাজনীতি করছেন। গাজীপুর-৪ আসনে স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন তিনি।

শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, “কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছি। আরও পরে আমি গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি, কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, ভোটের আন্দোলনে আমি সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম। কারাবরণ করেছি, মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে, তারপরও বাবার মতোই জনগণের পাশে ছিলাম।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যশোর-৩ আসন থেকে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “দীর্ঘদিন জনগণের জন্য আমরা রাজনীতি করেছি। আমার প্রয়াত পিতা বিএনপির আনুকূল্যে ও জনগণের সমর্থন নিয়ে এ অঞ্চলে মানুষের জন্য প্রভূত কাজ করেছেন। সৃষ্টিকর্তা যদি আমাকে আগামীতে যশোরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার তৌফিক দেন, তাদের প্রত্যাশাকে বিবেচনায় রেখে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করে এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করব।”

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, এসব প্রার্থীর অনেকেই যোগ্য এবং এলাকার জনগণের মধ্যেও গ্রহণযোগ্য।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “যে নেতা প্রয়াত, স্বাভাবিকভাবেই তার একটা ফুটপ্রিন্ট থেকে যায়। তারও একটা সাপোর্ট বেস থেকে যায়। তারপর তার ছেলে যদি ভালো কাজ করে, নির্বাচনে রেজাল্ট নিয়ে আসে, সেটা অবশ্যই যাচাই করা হবে।”

দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “প্রয়াত নেতাদের সন্তানরা রাজনীতিতে সক্রিয়, এলাকায় সক্রিয়, বিভিন্ন পদ-পদবিতে আছে। তারা তো দাবি করতেই পারে। কোনো নেতার সন্তান হিসেবে নয়, তাদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমরা অবশ্যই তাদের বিবেচনায় আনা হবে।”

তবে শুধু পরিবারের পরিচয়ই নয়, শেষ পর্যন্ত প্রার্থীতার বিচারে সব দিক বিবেচনা করেই দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার