সব জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে নভেম্বরেই দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির বেশ কয়েকটি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা তারেক রহমান দেশে ফিরুক। নির্বাচনে দলের পক্ষে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন তিনি এমন প্রত্যাশাই সবার।
তারেক রহমানও দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।তার দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি নিরাপত্তা কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির একজন সদস্য জানান, আমরা ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কাজ করা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে—এই সময়ের মধ্যে জাপান থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়িও চলে আসবে।
জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর গুলশান-২ অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন।
এর আগে, ১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেয়।
২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে আশা করছি। তারেক রহমানের দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিগগিরই নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিন সাংবাদিকরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গেও জানতে চান। জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন করবেন কিনা। আমরা তো চাই তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’
দলীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমান দিন-রাত নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, পরামর্শ নিচ্ছেন। এটি নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। মনোনয়ন প্রক্রিয়াও সেই আলোচনার ভিত্তিতেই এগোচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার যাতে তত্ত্বাবধায়কের আদলে এবং কর্মকাণ্ডে যায়। তারা যাতে রুটিন ওয়ার্ক করেন। কিছু উপদেষ্টার আচার-আচরণ এবং একটি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে আলোচনা আছে। এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।