Logo
Logo
×

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

শ্রীলঙ্কা উপকূল ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ এর তাণ্ডবে কমপক্ষে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২১ জন নিখোঁজ হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের চারটি প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নলিখিত স্থানগুলো থেকে দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৮০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৩০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৫০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৫৫ কিলোমিটার অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে কঠোরভাবে বলা হয়েছে। এছাড়া সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দ্বীপদেশটির ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। এতে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব এখনো চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশটির বেশ কিছু জায়গায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার