১ জানুয়ারি থেকে নতুন পে স্কেল কার্যকরের দাবি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
আগামী ১ জানুয়ারি নবম পে স্কেল কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেট বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছেন তারা। একই সাথে পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার নেতিবাচক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিও জানান সংগঠনটির নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১:৪-এর ভিত্তিতে ১২টি গ্রেডে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৯ম পে স্কেল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট জারি করতে হবে এবং জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ৯ম পে-স্কেল কার্যকর করতে হবে। একই সাথে ২০১৫ সালে পে স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়িটি বা আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থানে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
তারা বলেন, ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারিসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে এবং টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কময়চারিদের টেকনিক্যাল পদের মর্যাদা দিতে হবে। এ ছাড়া কর্মরত কর্মচারিদের বেতন স্কেল শেষ ধাপে উন্নীত হওয়ায় বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না, বিধায় চাকরিরতদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি অব্যাহতভাবে রাখতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের ১০০% পেনশন প্রাপ্তির বিধান ছিল বলেও জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বৈষম্যমূলক আদেশ বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া বর্তমান বাজারমূল্যের সাথে সঙ্গতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে বিদ্যমান ভাতা পুনঃনির্ধারণ ও সামরিক, আধাসামরিক বহিনীর ন্যায় (১১-২০ গ্রেড) কর্মচারিদের রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।
একই সাথে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের মধ্যে বেতন ও পদ বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে সচিবালয়ের ন্যায় সকল সরকারি, আধাসরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে কর্মচারিদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দুর করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।
সংগঠনের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান, আসাদুল ইসলাম ও সহ-সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী। এতে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, মো. আনিসুর রহমান, মো. জিয়াউল হক, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রফিকুল আলম, মো. আমিনুর রহমান প্রমুখ।