১৩ নভেম্বর ঘিরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ১৩ নভেম্বর লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের কারাগারের মুল প্রাঙ্গণে পৌঁছার আগে কয়েক স্তরের তল্লাশি ও নিরাপত্তা চৌকি পাড়ি দিতে হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আরপি গেটে অবস্থান করে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা ঢাকা-মাওয়া ঘেঁষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আরপি গেট (প্রধান ফটক)। আগে দর্শনার্থীরা অনায়াসে এই গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেন। ভেতরে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা, টয়লেটের সুবিধা, সাক্ষাৎ ও পিসিতে টাকা জমা নেওয়া হতো। এখন টয়লেটের সুবিধা না থাকলেও অন্যান্য সেবা আরপি গেটের কাছে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরপি গেটের বাইরের একটি কক্ষ থেকে সাক্ষাৎ স্লিপ সংগ্রহ করার পর আরপি গেটে দায়িত্বরত কারারক্ষীকে সেটা দেখিয়ে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আরপি গেট পাড়ি দেওয়ার আগে সেখানে স্থাপিত একটি কক্ষে দর্শনার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল জমা দিতে হয়। এরপর ২০০ মিটার পায়ে হেঁটে গেলে দ্বিতীয় দফায় কারারক্ষীরা চেক করছেন। সেখানে অস্থায়ী ব্যরিকেড বসিয়ে চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এখান থেকে দর্শনার্থীদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি মিলছে।
ঢাকার দোহার থানা এলাকা থেকে কারাগারে বন্দি স্বজনকে দেখতে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। মাদক মামলায় তার ভাগ্নে কারাগারে রয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে নিরাপত্তা ও তল্লাশি চৌকি বাড়ানো হয়েছে। আগে তারা আরপি গেট পেরোনোর পর অন্যান্য সেবা দিও। কিন্তু এখন আরপি গেট থেকেই এসব দিচ্ছে। আরপি গেটের পাশে জায়গা কম হওয়ায় কিছুটা সময় লাগছে। অনেক সময় দর্শনার্থীদের লাইন বেশ লম্বা হয়ে যাচ্ছে। তবে এখানে টয়লেট ও বিশ্রামের সুবিধা নেই।
আরপি গেটে দায়িত্বরত কারারক্ষী জালাল উদ্দীন বলেন, আগের চেয়ে অনেকটা কড়াকড়ি করা হয়েছে। সাক্ষাৎ স্লিপ ছাড়া কাউকেই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। ব্যাগ ও মোবাইলও জমা দিয়ে ভেতরে যেতে হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল মোবাইল ফোনে বলেন, কারাগার একটা বিশেষায়িত এলাকা। অন্য স্থাপনার চেয়ে এখানকার পরিবেশ খুব সেনসিটিভ। সবসময় আমরা এই স্থাপনা ও বন্দিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। তেমনি কারাগারে আগত দর্শনার্থীদের একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আগের চেয়ে নিরাপত্তা ও তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।