Logo
Logo
×

জাতীয়

আ.লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে ঢাকার প্রবেশপথে চেকপোস্ট, যানবাহনে তল্লাশি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ পিএম

আ.লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে ঢাকার প্রবেশপথে চেকপোস্ট, যানবাহনে তল্লাশি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ঢাকা জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আমিনবাজার চেকপোস্টে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলেছে এই তল্লাশি কার্যক্রম। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে গণপরিবহন, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাত্রীদের গন্তব্য ও আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা।

তল্লাশির সময় যাত্রীদের ব্যাগপত্রের পাশাপাশি তাদের মুঠোফোনও পরীক্ষা করছেন পুলিশ। ফোনের গ্যালারি ঘেঁটে সন্দেহজনক তথ্য বা উপকরণ পাওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এতে মহাসড়কের কিছু অংশে যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ে। তবে পুলিশের দাবি, এটি কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই নেওয়া পদক্ষেপ। চেকপোস্টে উপস্থিত সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের লকডাউন কর্মসূচীকে ঘিরে আমিনবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের এ তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আমাদের টহল কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে এবং এটি আগামীতেও চলমান থাকবে। এছাড়াও কেউ যেন কোনভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাগসহ অন্যান্য মালামাল তল্লাশি করা হচ্ছে।’

চেকপোস্টে যাত্রীদের মোবাইল তল্লাশির পাশাপাশি গ্যালারি কেন দেখা হচ্ছে- এ বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেখেন অনেকেই আত্মগোপনে থাকে। আবার অনেকে নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়। সেক্ষেত্রে আমরা মোবাইল, ব্যাগ বা অন্যান্য জায়গাগুলো চেক করে দেখার চেষ্টা করি নাশকতার কোনো উপকরণ আছে কি না। সবার পারমিশন নিয়ে মোবাইল চেক করা হচ্ছে।’

যদিও যাত্রীদের মুঠোফোন তল্লাশির ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যদের যাত্রীদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে দেখা যায়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার