বাংলাদেশি নাগরিক আমিনুল ইসলামের প্রত্যর্পণ বিষয়ে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ তদন্ত চলছে
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আবদুল নূর ও তার সহযোগী রুহুল আমিনের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া বর্তমানে বুকিত আমান (মালয়েশিয়ার পুলিশ সদর দপ্তর) ও ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল আজ জানিয়েছেন, বিষয়টি সরকার-টু-সরকার (জিটুজি) এবং পুলিশ-টু-পুলিশ (পিটুপি) ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মালয়েশিয়া সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, বিষয়টি পুলিশ পর্যায়ে (পিটুপি) সমন্বয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। আপাতত আমি এখানেই সীমিত থাকছি, এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
মন্ত্রী আজ কুয়ালালামপুরে জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (এনআরডি) ও জাতীয় জনসংখ্যা ও পরিবার উন্নয়ন বোর্ডের (এলপিপিকেএন) মধ্যে ‘পিসমেকার বডি’ নামের একটি পাইলট প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তবে সাইফুদ্দিন নাসিউশন স্পষ্ট করে বলেননি, ঢাকা কর্তৃপক্ষ আমিনুল ও রুহুলকে প্রত্যর্পণের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য কী তা জানিয়েছে কিনা।
গত বছরের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় আবেদন পাঠানো হয়েছে যাতে আমিনুল ইসলাম ও রুহুল আমিনকে গ্রেফতার ও হস্তান্তর করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তারা মানি লন্ডারিং, চাঁদাবাজি ও বিদেশি শ্রমিক পাচার কার্যক্রমে জড়িত।
তবে মালয়েশিয়া সে সময় ঢাকার কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছিল — আটকাদেশের উদ্দেশ্য কি প্রত্যর্পণের জন্য, নাকি অতিরিক্ত তদন্তের জন্য।
সাইফুদ্দিন বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের আগে জানতে হবে—আটকের উদ্দেশ্য আসলে কী? এটি কি তদন্তের অংশ, নাকি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার অংশ।’
উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম হলেন বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, যা মালয়েশিয়ার সরকারের বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনায় ব্যবহৃত বিদেশি শ্রমিক কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থাপনা সিস্টেম পরিচালনা করে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জন্ম নেওয়া আমিনুল বর্তমানে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তিনি এখন আর বেস্টিনেটের চেয়ারম্যান নন, তবে এখনও কোম্পানিটির অংশীদার হিসেবে যুক্ত আছেন।