বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিবের বক্তব্য দুঃখজনক-অনভিপ্রেত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৪ এএম
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বক্তব্যকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়— বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে উভয় কর্মকর্তার বক্তব্য বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা দেশের প্রধান রপ্তাফতানিমুখী খাত পোশাক শিল্পকে পরোক্ষভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, গত চার মাস ধরে পোশাক শিল্পের নীতি প্রণয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও চলমান সংকট মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই সাক্ষাৎ হয়নি।
বিজিএমইএ আরও জানায়, বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব যে সভার কথা উল্লেখ করেছেন— সেটি ছিল এলডিসি উত্তরণ-সংক্রান্ত একটি সাধারণ পর্যালোচনা সভা, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি কোনোভাবেই পোশাকশিল্প বা বিজিএমইএ’র জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। একটি সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকা এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ পাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে গভীর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও পাইনি। অথচ স্টারলিংকের কোম্পানি স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলে তার সঙ্গে দেখা করা হয়— যে কোম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি খাতের প্রতিনিধিদের সময় দেওয়া হয় না।”
সংগঠনটি আরও উল্লেখ করে, বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্য ছিল দেশের বৃহত্তর শিল্প ও রফতানি খাতের স্বার্থে উদ্বেগ প্রকাশের অংশ। অথচ বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব বিষয়টি প্রেক্ষিতহীনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা বিভ্রান্তিকর এবং শিল্পখাতের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেস সচিব দেশের বৃহত্তম রফতানিমুখী খাত সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় আরও পেশাদার ও দায়িত্বশীল হবেন। পাশাপাশি, রফতানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও নীতিগত বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে।