চলতি বছর মালদ্বীপে ২৬ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
ভাগ্যান্বেষণের প্রত্যাশায় দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা। স্বপ্ন ছিল জীবন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণের। কিন্তু সেই স্বপ্নের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বিদেশের নির্মম বাস্তবতায়। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে নিঃশেষ হয়েছে আরও তিন প্রবাসী বাংলাদেশির প্রাণপ্রবাহ।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরে (২০২৪) দেশটিতে মোট ৩৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ২৮ জন বৈধ কর্মী এবং ১১ জন অনিবন্ধিত (আনডকুমেন্টেড) শ্রমজীবী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। চলতি বছরে (২০২৫) এখন পর্যন্ত (২৫ অক্টোবর) ২৬ প্রবাসী বাংলাদেশির জীবনাবসান ঘটেছে, যাদের অধিকাংশই হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের (স্ট্রোক) মতো প্রাণঘাতী জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেছেন।
হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে মরদেহগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বদেশে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে রাজধানী মালের হিমাগারে আরও কয়েকজন প্রবাসীর মরদেহ সংরক্ষিত রয়েছে, যেগুলোর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) মৃত্যুজনিত ঘটনাগুলোর প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে এবং হিমাগারের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে সেখানে পরিদর্শনে যান মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের প্রত্যাশায় প্রবাস জীবনে পা রাখা অসংখ্য বাংলাদেশির এমন অকালপ্রয়াণ প্রবাস-বাস্তবতার নৃশংস রূপকে আরও প্রকট করে তুলছে।
এই প্রসঙ্গে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, প্রবাসী মৃত্যুর পেছনে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, শারীরিক ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ, স্বল্প আয় ও পরিবার থেকে দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের অকালমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।