সংঘর্ষে ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, পূরণের আশ্বাস ড্যাফোডিলের
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০-১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বর্তমানে তাদের ১১ জন শিক্ষার্থী আমাদের হেফাজতে আছে। হামলার সময় আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে। ড্যাফোডিলের উপাচার্য এলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, সিটি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন শেষে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখিত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেবে। একই সঙ্গে, যারা ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কীভাবে তাদের হাতে অস্ত্র এল, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা চাই, এমন নৃশংস ঘটনা আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ রাতভর কাজ করেছে। উল্টো পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং একপর্যায়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে এগিয়ে যান।
দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
একপর্যায়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাস, একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয়। এছাড়া আরও দুটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেল এবং প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়।