Logo
Logo
×

জাতীয়

আবারও কী একপক্ষীয় নির্বাচনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে?

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৬ এএম

আবারও কী একপক্ষীয় নির্বাচনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে?

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে নাকি আবারও আওয়ামী লীগ আমলের তিনটি নির্বাচনের মতো এক পক্ষকে বাদ দিয়ে একটি নির্বাচন হবে- সেই আলোচনা রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ বাড়ছে।

যদিও গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এখন পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। ছোট ছোট অনেক দলই এখন এই দুই বলয়ে বিভক্ত।

তারপরেও ভোটের রাজনীতিতে এদের সবারই দীর্ঘকালীন পরিচিত হলো 'আওয়ামী লীগ বিরোধী' হিসেবেই।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন ও পুরনো কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে 'নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না', আবার কোনও দল বলছে 'বিচারের আগে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল' কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না'।

আর সেটি হলে সামনের নির্বাচনটিতে শুধুমাত্র 'আওয়ামী লীগ বিরোধীদেরই' দেখা যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আওয়ামী লীগ আমলে সরকারি ভাবে কোনও দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয়নি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে।

তবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল হওয়ায় ২০১৮ সালে তারা বিএনপির সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

কিন্তু এবার অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং এর সূত্র ধরে নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি বা ১৪ দলের বিষয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।

একজন নির্বাচন কমিশনার সম্প্রতি সিলেটে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত। স্থগিত দল মানে তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশ গ্রহণ করতে পারবে না'।

তবে 'নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার' দাবির মধ্যে 'ভিন্ন কিছু' থাকতে পারে- এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।

প্রশ্ন উঠছে, এখন যারা আওয়ামী লীগ ও সমমনা সব দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার দাবি করছে, শেষ মুহূর্তে তারাও যদি বিভিন্ন দাবি তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তখন সেই নির্বাচনের কি হবে?

প্রসঙ্গত, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রার্থী হিসেবে না হলেও আওয়ামী লীগের ভোটারদের বড় অংশই নির্বাচনে ভোট দিতে আসবেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার