Logo
Logo
×

জাতীয়

সরকারি বিজ্ঞাপনের রেট দ্বিগুণ হচ্ছে, সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে হবে

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

সরকারি বিজ্ঞাপনের রেট দ্বিগুণ হচ্ছে, সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে হবে

পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপনের রেট দ্বিগুণ করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যুনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা চাইব বিজ্ঞাপনের হার বাড়ুক। কিন্তু এই সুবিধা আমরা দেবো, এর জন্য আমরা সাংবাদিকদের জন্য একটা বেসিক স্যালারি স্ট্রাকচার প্রস্তাব করে যেতে চাই। সাংবাদিকদের যদি এই বেসিক স্যালারি না দেওয়া হয়, তাহলে ওই পত্রিকা আমরা বা আউটলেটকে আমরা এই সুবিধা দেবো না।'

'পত্রিকা মালিক ও সম্পাদকরা যদি ইমিডিয়েটলি এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেন, তাহলে আমরা এই সংস্কারের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করব। কারণ আমরা সরকার থেকে সুবিধা দেবো, জনগণের টাকায় ৯০০ টাকার বদলে ১৮০০ টাকা বিজ্ঞাপন দেবো, কিন্তু আপনি সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন দেবেন না—এতে যে নৈতিক সংকট তৈরি হয় তাতে সাংবাদিকরা এখানে-ওখানে খ্যাপ মারে, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির মধ্যে ঢুকে যায়। এটা বন্ধের জন্য অবশ্যই সাংবাদিকদের ডিগনিফাইড লাইফ দিতে হবে,' বলেন তিনি।

পত্রিকার প্রচারসংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, 'যদি কোনো পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ৩ লাখ বলা হয়, অথচ বাস্তবে ১ লাখ ৫০ হাজার হয়, তাহলে তারা নির্দিষ্ট হারে বিজ্ঞাপন পাবে না। বড় পত্রিকা বা রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত কিছু পত্রিকা ফোন করে বাড়তি বিজ্ঞাপন পায়—এই অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই, ন্যায্যতা বজায় রেখে হার বাড়ুক, কিন্তু ভুয়া প্রচারসংখ্যা যেন না দেখানো হয়।'

মাহফুজ আলম আরও বলেন, 'টেলিভিশন মিডিয়া একটা প্রস্তাব করেছে। এটাও শর্ত সাপেক্ষ করে দেবো, আমরা ডিজিটাইজেশন করব। টেলিভিশন মিডিয়া ডিজিটাইজেশন হলে কয়েকশ কোটি টাকা রেভিনিউ বাড়বে টেলিভিশনের। এতে টিভি নেটওয়ার্কে যারা কাজ করেন, যারা মালিক বা ব্যবসায়ী তারাও উপকৃত হবেন। ডিজিটাইজেশনের কারণে প্রত্যেকটা টেলিভিশন তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ভালো বিজ্ঞাপন পাবে। এই সুবিধাও আমরা দেবো এই শর্ত সাপেক্ষে যে সাংবাদিকদের একটা বেসিক স্যালারি দিতে হবে, যেটার একটা লিমিট আমরা ঠিক করতে চাই। এরপর আপনারা ইনক্রিমেন্ট দেবেন।'

তথ্য উপদেষ্টা জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বর্তমানে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য বিধিমালা প্রণয়নের কাজ করছে।

তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। নভেম্বরের পর মন্ত্রিসভার বৈঠক আর হবে না, তখন সরকার নির্বাচন কমিশনের অধীনে তার ভূমিকা পালন করবে।

'আমরা নভেম্বরের মধ্যেই অধ্যাদেশগুলো প্রণয়ন করতে চাই,' বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও বিধিমালা তৈরির কাজ করছে। এটি আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার