জট দূর করে ১২ লাখ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি সম্পন্ন

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২
জট দূর করে ১২ লাখ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি সম্পন্ন

স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জট দূর হয়েছে। আটকে থাকা ১২ লাখের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্সের পুরোটাই ছাপানো সম্পন্ন হয়েছে। এর অর্ধেকের বেশি ইতোমধ্যে সরবরাহও করা হয়েছে। বাকিগুলো সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে বিআরটিএ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান শুরু করে। ৫ বছরে ১৫ লাখ লাইসেন্স সরবরাহের শর্তে ওই বছর টাইগার আইটির সঙ্গে চুক্তি করে বিআরটিএ। কিন্তু ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই টাইগার আইটি ১৪ লাখ লাইসেন্স প্রিন্ট করে দেয়। এ সময়ে বিআরটিএ নিয়মতান্ত্রিকভাবে লাইসেন্স সরবরাহ বন্ধ করে শুধু জরুরি প্রয়োজনীয় লাইসেন্স সরবরাহ শুরু করে। যার কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ২০ মাসে প্রায় ১৪ লাখের মতো নবায়ন ও নতুন লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ে। তবে আবেদন অনুযায়ী লাইনেন্স সরবরাহ করতে পারেনি বিআরটিএ।

এরই মধ্যে বিআরটিএ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ৪০ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের চুক্তি করে। ওই কোম্পানি চুক্তির পর যেসব নতুন লাইসেন্স ও নবায়নের আবেদন জমা পড়েছিল— সেগুলো প্রিন্ট ও সরবরাহ শুরু করে। এর বেশি সরবরাহের সক্ষমতাও যেমন তাদের ছিল না, তেমনই আগের প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির বিরুদ্ধেও তথ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ ছিল। এ কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ২০ মাসে জমা পড়া আবেদনের প্রায় ১২ লাখ লাইসেন্স সরবরাহ ঝুলে থাকে। এই লাইসেন্সগুলো সরবরাহে নতুন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বিআরটিএ তিন দফা টেন্ডারও আহ্বান করে। তবে মামলার কারণে বিষয়টির আটকে যায়। অবশ্য এরই মধ্যে টাইগার আইটি তার তথ্য ভাণ্ডারে জমা থাকা তথ্যগুলো বিআরটিএ’র কাছে হস্তান্তর করে। পরে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডকে (বিএমটিএফএল) ডিপিএম কাজ দেওয়া হয়। যদিও কোভিডের কারণে তারা জার্মানি থেকে সময় মতো মেশিন আনতে না পারায় কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুত সরবরাহের সুপারিশ করা হয়।

জানা গেছে, গত মাসের (সেপ্টেম্বর) মধ্যে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেড আটকে থাকা ১১ লাখ ৭০ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে বিআরটিএ’র কাছে হস্তান্তর করেছে। এসব কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১১ লাখ গ্রাহককে এসএমএস করে তাদের কার্ড সরবরাহের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের এসএমএস পাঠানো চলমান রয়েছে। এসএমএম ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সার্কেলে যোগাযোগ করলেও কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৭ লাখের বেশি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ‘আটকে থাকা ডাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ নিয়ে আমাদের যে জটিলতা ছিল, তা কেটে গেছে। আমাদের সবগুলো কার্ডই ছাপানো সম্পন্ন হয়েছে। অর্ধেকের বেশি কার্ড এরইমধ্যে সরবরাহ করেছি। বাকিগুলোর সরবরাহ চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে কার্ড ছাপানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও ব্যাকলক নেই।’