Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচনে যেসব পদে আরো বাংলাদেশিরা জয়ী

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচনে যেসব পদে আরো বাংলাদেশিরা জয়ী

গত ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন স্টেট ও সিটি থেকে বিভিন্ন পদে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকান নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় বাংলাদেশিদের অবস্থান আরো সুসংহত করেছে।  

নির্বাচিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ওহাইওতে নির্বাচিত প্রথম  মুসলিম বিচারক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আজমেরি হক, নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে ফ্যামিলি বিচারক নাবিলা চৌধুরী (নাবিলা, মিলবোর্ন সিটিতে পুনরায় নির্বাচিত মেয়র মাহবুবুল আলম তৈয়ব এবং কাউ-ন্সিলম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই বাংলাদেশি সায়েদ রিয়াদ ও শাহীন আলম, মিলবোর্ন সিটি সংলগ্ন আপার ডারবি টাউনশিপ নির্বাচনে কাউন্সিল মেম্বার সায়মা দিশা, ট্রেজারার মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান ড্যানি এবং স্কুল বোর্ড ডিরেক্টর মোহাম্মদ হোসেন মিঠু, নি-উজার্সির আটলান্টিক সিটিতে কাউন্সিল অ্যাট লার্জ সোহেল আহমদ, আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড নির্বাচনে সুব্রত চৌধুরী, জর্জিয়ার ডোরাভিলে সিটিতে কাউন্সিল মেম্বার মো. নাসের, নিউইয়র্ক স্টেটের হাডসন সিটিতে কাউন্সিল মেম্বার দেওয়ান সরোয়ার ও মোহাম্মদ রনি এবং পুনরায় সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া, মিশিগানের হ্যামট্রামেক সিটিতে পুনরায় কাউন্সিলর আবু আহমেদ মুসা ও নাঈম লিয়ন চৌধুরী মিশিগান স্টেটের হ্যামস্ট্রামেক সিটি মেয়র নির্বাচনে মাত্র ১১ ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন বাংলাদেশি আমেরিকান মুহিত মাহমুদ।

ওহাইওতে প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আজমেরি: বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে আজমেরি হক ওহাইও রাজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি মিউনিসিপ্যাল কোর্টের নতুন বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন। এরই সাথে ডেমোক্র্যাট ওহাইও'র প্রথম মুসলিম বিচারক নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলেন।

ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি নির্বাচন বোর্ডের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, আজমেরি হক ১৩৩,০০০ এরও বেশি ভোট পেয়েছেন। ৩ দশকের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা বিচারক জেমস গ্রিনের উত্তরসূরি হচ্ছেন তিনি। আরো উল্লেখ্য, আজমেরি ইতিহাসে প্রথম ইমিগ্র্যান্ট সিটিজেন হিসেবে বিচারকের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। আজমেরি হকের জন্ম বাংলাদেশে শৈশবে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। একসময় তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাস করতেন। পরে সেখান থেকে কলম্বাসে পাড়ি জমান এবং কলম্বাসের ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি ল স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আজমেরি ল্যাঙ্কাস্টারে একজন প্রসিকিউটর এবং কয়েক বছর ধরে কলম্বাসে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ডিফেন্স অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে স্থানীয় ডাবলিন শহরে বসবাস করেন।

এই বিজয়ের পর গত ৪ নভেম্বর ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি ডেমোক্রেটিক পার্টি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'এটি আমার জন্য শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্য নয়। এটি প্রতিটি অভিবাসী নারীর জন্য এক বার্তা- তোমরা পারবে, যদি বিশ্বাস রাখো নিজের স্বপ্নে' হক এর আগে ২০২১ সালে ডাবলিন সিটি কাউন্সিলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি ডেমোক্র্যাটদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রকল্যান্ড কাউন্টিতে পারিবারিক আদালতের বিচারক হলেন নাবিলা। নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে পারিবারিক আদালতে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন নাবিলা চৌধুরী (নাবিলা ম্যাকলিওড)। নাবিলার বাবা রসূল আশরাফ চৌধুরী এবং আশরাফ আলী চৌধুরী (মধু চৌধুরী)'র নাতনী।

নাবিলার ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইন অনুশীলনের প্রমাণ রয়েছে এবং তিনি শিশু ও পরিবারকে সহায়তা করার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নাবিলা বেঞ্চে ন্যায্যতা, করুণা এবং সততা আনতে প্রস্তুত।

ফের মিলবোর্ন সিটির মেয়র হলেন মাহবুবুল আলম তৈয়ব, কাউন্সিল মেম্বার পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের মিলবোর্ন সিটির মেয়র হিসেবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন

আমেরিকান মাহবুবুল আলম তৈয়ব। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার বিপক্ষে কেউ মনোনয়ন না চাওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তৈয়ব ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম সিটি মেয়র হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান মেয়র।

গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মিলবোর্ন সিটিতে কাউন্সিলম্যান পদে দুই বাংলাদেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের একজন চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ছেলে সায়েদ রিয়াদ (২১), আরেকজন নওগাঁর শাহীন আলম (৩৫)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষে মাহাবুবুল আলম তৈয়ব ২০০০ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে এসে মিলবোর্ন বরোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়ায় বাংলাদেশিদের নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মিলবোর্ন সিটির মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে টানা ৮ বছর তিনি কাউন্সিলম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে মিলবোর্ন সিটির সেলার অ্যাভেনিউয়ের অংশবিশেষের নাম 'বাংলাদেশ অ্যাভেনিউ' করেছেন তিনি।

আর কাউন্সিলম্যান সায়েদ রিয়াদ দুই বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। আপার ডারবি হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

নওগাঁর ছেলে শাহীন আলম বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ২০১১ সালে পেনসিলভেনিয়ার আপার ডারবিতে বসতি গড়েন। কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে মিলবোর্ন সিটি সংলগ্ন আপার ডারবি টাউনশিপের নির্বাচনেও ৩ বাংলাদেশি জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে কাউন্সিলওম্যান হিসেবে সায়মা দিশা, টাউনশিপ ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান ড্যানি এবং স্কুল বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে মোহাম্মদ হোসেন মিঠু বিজয় অর্জন করেছেন।

আটলান্টিক সিটিতে সোহেল আহমদ কাউন্সিল অ্যাট লার্জ নির্বাচিত: নিউজার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কাউন্সিল অ্যাট লার্জ পদে জয়লাভ করেছেন মৌলভী বাজারের কুলাউড়ার সন্তান সোহেল আহমদ গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টিম স্মল প‍্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসাবে এই নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম এমএ গণির পুত্র সোহেল আহমদ বর্তমানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাটলান্টিক কাউন্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- সিটি হলে নতুন নেতৃত্ব আনয়ন, নিরাপদ এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তা-ঘাট, কর হ্রাস, নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করায় তিনি আটলান্টিক সিটির ভোটারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

জর্জিয়ার ডোরাভিল সিটিতে মো. নাসের কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচিত জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা সিটি সংলগ্ন ডোরাভিলে সিটির কাউন্সিলম্যান হিসেবে জয় পেয়েছেন নোয়াখালীর মো. নাসের। চট্টগ্রামের এ বাংলাদেশি ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একই সিটিতে কাউন্সিলম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের হাডসন সিটিতে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশিরা। কয়েক দশক ধরে কাউন্সিলম্যান, ট্রেজারার, সুপারভাইজার পদে বাংলাদেশিরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবারের নির্বাচনে দেওয়ান সরোয়ার ও মোহাম্মদ রনি পুণরায় কাউন্সিলম্যান হয়েছেন এ সিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ সুপারভাইজার হিসেবে পুণরায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস মিয়া। আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড নির্বাচনে সুব্রত চৌধুরীর হ্যাট্রিক: নিউজার্সি রাজ্যের আট-লান্টিক সিটির স্কুল বোর্ড নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকান সুব্রত চৌধুরী হ্যাট্রিক বিজয় লাভকরেছেন। সুব্রত চৌধুরী প্রথম এশিয়ান আমেরিকান হিসাবে তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। উল্লেখ্য, সাতজন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কচুয়াই গ্রামের বাসিন্দা স্বর্গীয় দীপেশ চৌধুরী ও রাধা চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান সুব্রত চৌধুরী আটলান্টিক কাউন্টি গভর্নমেন্ট এর হিউম্যান সার্ভিসেস স্পেশালিস্ট পদে কর্মরত। তিনি সাংবদিকতার পাশাপাশি ছড়া, গল্প লিখে থাকেন,অনুবাদক হিসাবেও তাঁর খ্যাতি আছে। 

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত চৌধুরী প্রথম আমেরিকান এশিয়ান হিসাবে আটলান্টিক কাউন্টির ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক পরামর্শক পর্ষদ’-এর সদস্য পদে আগামী তিন বছরের জন্য তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি আটলান্টিক সিটি ফ্রি পাবলিক লাইব্রেরির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সুব্রত চৌধুরী চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার উওর ভূর্ষি গ্রামের স্বর্গীয় শৈবাল শংকর চৌধুরী ও স্বর্গীয়া রানী চৌধুরীর কনিষ্ঠ জামাতা। তিনি স্ত্রী লাকী চৌধুরী, দুই সন্তান অর্ঘ্য চৌধুরী ও অদ্রি চৌধুরীকে নিয়ে আটলান্টিক সিটির চেলসি হাইটসে বসবাস করেন। তাকে ভোট দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী করায় তিনি আটলান্টিক সিটির ভোটারদের আন্তরিক ধন‍্যবাদ জানান।

সোহেল আহমেদ ও সুব্রত চৌধুরী সংবর্ধিত : আটলান্টিক সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী কাউন্সিল এট লার্জ সোহেল আহমেদ ও স্কুল বোর্ড নির্বাচনে বিজয়ী সুব্রত চৌধুরীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি। 

গত ৪ নভেম্বর রাতে সিটির ফ্লোরিডা অ্যাভিনিউর কাউন্টি ভবনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজন এর মধ্যে ছিল সম্মাননা প্রদান, কথামালা, সংগীত অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও শাহরিয়ার আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহীদ খান, সাব্বির হোসেন ভূঁইয়া, আব্দুর রফিক, রানা কবির, আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস, সামসুল ইসলাম শাহজাহান, আহসান হাবিব, জসীম উদ্দীন, আমিরুল ইসলাম টফি, বিপ্লব দেব, কাজল সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সোহেল আহমেদ ও সুব্রত চৌধুরীসহ টিম স্মলের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আসিফ আনোয়ার।

হাডসন সিটিতে দুই বাংলাদেশি কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচিত : নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের হাডসন সিটিতে কয়েক দশক ধরে কাউন্সিলম্যান, ট্রেজারার, সুপারভাইজার পদে বাংলাদেশিরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবারের নির্বাচনে দেওয়ান সরোয়ার ও মোহাম্মদ রনি পুণরায় কাউন্সিলম্যান হয়েছেন। এ সিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ সুপারভাইজার হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস মিয়া।

হ্যামট্রামেক সিটিতে দুই ২ বাংলাদেশি নির্বাচিত : মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রামেক সিটি মেয়র নির্বাচনে মাত্র ১১ ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন বাংলাদেশি আমেরিকান মুহিত মাহমুদ। ইয়ামেনি বংশোদ্ভূত অ্যাডাম আল হারাবি ২০০৯ ভোট পেয়েছেন। তার বিপক্ষে মুহিত মাহমুদ লাভ করেছেন ১৯৯৮ ভোট। তবে অ্যাবসেনটি ব্যালটে ত্রুটিপূর্ণ থাকার কারণে বেশ কয়েকটি ভোট চিহ্নিত হওয়ার কারণে মূল ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। 

প্রাপ্ত ব্যালট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ব্যালটগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি আমেরিকান মেয়র প্রার্থী মুহিত মাহমুদের এখনো মেয়র হিসেবে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সিটি ক্লার্ক রানা ফারাজ বলেছেন, প্রায় ১৫০টি ব্যালটে সইসহ অন্যান্য অসংগতি থাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় ভোট গণনা করে মেয়র পদে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এদিকে হ্যামট্রামেক সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ২ বাংলাদেশি আমেরিকান জয় পেয়েছেন। গত ৪ নভেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৬৪৫ ভোট পেয়ে টানা ৪ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আবু আহমেদ মুসা এবং ১৬৩৪ ভোট পেয়ে ২য় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নাঈম লিয়ন চৌধুরী। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার