Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

একজন নারী ডাক্তারকে নিয়ে কৌতুহল

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২২ এএম

একজন নারী ডাক্তারকে নিয়ে কৌতুহল

বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় জড়িয়ে গেছে একজন নারী চিকিৎসকের নাম। তিনি হলেন ডা. শাহীন সাঈদ। কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন একজন সাধারণ চিকিৎসক। পেশার কাজে ব্যস্ত একজন পেশাদার নারী। কিন্তু তার সহকর্মীরা কেউই জানতেন না, আসলে তিনি কে। তাকে নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। 

দিল্লি পুলিশের দাবি, শাহীন সাঈদ গোপনে কাজ করছিলেন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈইশ ই মোহাম্মদ (জেইএম)-এর নারী শাখা গঠনের জন্য। এর প্রধান কার্যালয় পাকিস্তানে। ভারতে তিনি ছিলেন এর কার্যক্রমের নেতৃত্বে। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌয়ের বাসিন্দা শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে (যা দিল্লি সীমান্তের কাছে) বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। দিল্লি থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এনডিটিভিকে বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পর এখন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে শাহীন আসলে কী করছিলেন।

তিনি বলেন,  শাহীন সাঈদ শৃঙ্খলা মানতেন না। কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ চলে যেতেন। অনেক মানুষ তার সঙ্গে দেখা করতে কলেজে আসত। তার আচরণ ছিল প্রায়ই অদ্ভুত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনার কাছে অভিযোগও করা হয়। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতীয় তদন্ত সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে দাবি তুলেছেন শাহীন সাঈদের ব্যক্তিগত নথি, অতীতে কোথায় কোথায় তিনি কাজ করেছেন, সেসব তদন্ত করে দেখা হোক।

ওই অধ্যাপক বলেন, আমরা কখনও ভাবিনি তিনি এমন কিছুতে জড়িত থাকতে পারেন। সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে মাওলানা মাসুদ আজহার-এর বোন সাদিয়া আজহার যে সংগঠন ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ নামে জৈইশ-ই-মোহাম্মদের নারী শাখা পরিচালনা করেন, তার ভারতের দায়িত্বেই ছিলেন শাহীন সাঈদ। তিনি ছিলেন কাশ্মীরের চিকিৎসক মুজাম্মিল গণাই ওরফে মুসাইব-এর ঘনিষ্ঠ। তিনিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। গণাইকে গ্রেপ্তার করা হয় তার ফরিদাবাদের দুটি ভাড়া করা কক্ষ থেকে ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের পর। 

তদন্তে জানা গেছে, যে গাড়িতে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং গুলি পাওয়া যায়, সেটি শাহীন সাঈদের নামে নিবন্ধিত। ফরিদাবাদ নম্বর (এইচআর ৫১) যুক্ত সেই মারুতি সুইফট গাড়িটি গণাইকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তল্লাশি চালিয়ে জব্দ করা হয়। এই পুরো ঘটনাকে এখন তদন্তকারীরা দিল্লির লালকেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন। ওই হামলায় ৯ জন নিহত হন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার