ভারতীয় বোর্ডে গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ, অপরদিকে পাপনের ১০ বছর ফূর্তি

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২
ভারতীয় বোর্ডে গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ, অপরদিকে পাপনের ১০ বছর ফূর্তি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিসিআই) শুরু হয়েছে ক্ষমতার পালাবদল। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে এ মাসেই। তিন বছরের মেয়াদকাল শেষে তিনি আর বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকছেন না। নতুন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে আরেক সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রজার বিনির।

প্রতিবেশি দেশের বোর্ডে যখন ক্ষমতার পালাবদল চলচে, তখন বিসিবি সভাপতি হিসেবে এক দশক পূর্ণ করে ফেললেন নাজমুল হাসান পাপন।

২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারত সরকারও সাবেক ক্রিকেটারদেরকেই বোর্ডের প্রধান হিসেবে দেখতে চাইছে। তাই সৌরভ পরবর্তী প্রেসিডেন্টও হচ্ছেন এক সাবেক ক্রিকেটার। অন্যদিকে ২০১২ সালে প্রথমবার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে তিনিই সভাপতি হয়ে আসছেন। একইসঙ্গে তিনি সরকারদলীয় সাংসদ এবং একটি ওষুধ কম্পানির উচ্চপদে অসীন।

নাজমুল হাসান পাপনের আমলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অর্জন কিন্তু কম নয়। নিঃসন্দেহে তিনিই বাংলাদেশের সফলতম বোর্ড সভাপতি। তার আমলে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল, মেয়েদের এশিয়া কাপ জয়, ছেলেদের স্মরণীয় কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়সহ দারুণ কিছু অর্জন আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। সমস্যা হলো, এই অর্জনগুলোর ধারাবাহিকতা ছিল না।

পাপনের দশ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ টেস্টে এখনও নড়বড়ে একটা দল। টেস্ট মানসিকতাই গড়ে ওঠেনি ক্রিকেটারদের মাঝে। টি-টোয়েন্টির অবস্থা তো আরও শোচনীয়। একমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই ভালো খেলে থাকে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ধরাশায়ী হওয়ার আগে সেই ধারাটা অব্যাহত ছিল। সর্বশেষ দুই-তিন বছরে পাপন সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছেন ক্রিকেটীয় ব্যাপারে নাক গলিয়ে। দল নির্বাচন করা, একাদশ ঠিক করা, এমনকী টস জিতলে ব্যাটিং না বোলিং- এসব ব্যাপারেও মত দিতেন বলে তিনি নিজেই বলেছেন।

সেইসঙ্গে মিডিয়ার সামনে ক্রিকেটারদর সমালোচনা করাও দেশের ক্রিকেটাঙ্গন ভালোভাবে নেয়নি। এক দশকেও তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন করতে পারেননি। জাতীয় দলের পাইপলাইন তাই দুর্বল হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্যগুলো আসছে হঠাৎ রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া পয়সার মতো। মানসম্মত স্পোর্টিং উইকেটের কথা বারবার এড়িয়েই গেছেন। গত বছর চতুর্থবারের মতো বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর পাপন বলেছিলেন, তিনি চান নতুন নেতৃত্ব উঠে আসুক। পাশাপাশি এটাও বলেছিলেন, ' এই জায়গাটায় আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আর কেউ এ পদটা নিতে চাইবে না!'