মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালায় যা আছে

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালায় যা আছে
মোবাইল ব্যাংকিং

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে- বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯.৯০ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, টাকা জমা-উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ মিলে গত জুলাইয়ে (সর্বশেষ) মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকা, এর আগের মাসে ছিল ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এই খাতে নিবন্ধিত গ্রাহক ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং নারী ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দেশে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২।

একজন গ্রাহক তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের কোনো একটি নম্বর থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে পাঠাতে পারেন। মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন করতে পারেন দুই লাখ টাকা। তবে এজেন্ট নম্বরের ক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।

বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক প্রথম সেবাটি চালু করে। তাদের এই সেবার নাম 'রকেট'। পরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে 'বিকাশ' এই সেবা চালু করে। ২০১৯ সালের মার্চে 'নগদ' নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে সরকারের ডাক বিভাগ।

'বাংলাদেশ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) রেগুলেশন্স-২০১৮' শীর্ষক নীতিমালা ২০১২ সালে জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও হুন্ডি প্রতিরোধে প্রচলিত মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলতে হবে। সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ এমএফএসের লাইসেন্স দেবে। গ্রাহকের স্বার্থহানিকর কোনো কাজ বা গুরুতর অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলকে নানা সময় অপরাধী চক্র ব্যবহার করার ঘটনা জানাজানির পর সবাইকে সতর্ক করতে ছয়টি নির্দেশনা জারি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে বলা হয়, এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম-ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে; মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন; স্থায়ী কোনো দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে এজেন্ট নিয়োগ না করা; ক্যাশআউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশআউট করবে (টাকা ওঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বরের ক্যাশআউট ও ক্যাশইনের ভারসাম্য না থাকলে বোঝা যায়, সেখানে বড় ধরনের ঘাপলা তৈরি হয়েছে। তবে অনেক সময় এসব বিষয়ে নজর দেয় না কর্তৃপক্ষ।