Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপির তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে পারবেন খন্দকার মুক্তাদির?

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ এএম

বিএনপির তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে পারবেন খন্দকার মুক্তাদির?

সিলেটের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো মনোনয়ন-পরবর্তী অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণার পরও বিভিন্ন আসনে ক্ষোভ ও বিভক্তি থামছে না। তৃণমূলে চলছে প্রার্থী রিভিউ ও পরিবর্তনের দাবি। কেউ কেউ এখনো ধানের শীষ না পেলেও মাঠ ছাড়ছেন না। পরিস্থিতি এমন যে, পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘মেলা দেখতে দেখতেই বেলা শেষ’—এমন অবস্থার দিকে যাচ্ছে বিএনপি।

গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে ১৪টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দল। তবে ঘোষণার পরই দেখা দেয় নানা প্রতিক্রিয়া। কয়েকটি আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। কোথাও কোথাও দলীয় নেতাদেরই মধ্যে মুখোমুখি বিভক্তি।

এই অবস্থায় সবচেয়ে আলোচিত আসন সিলেট-১ (সদর ও সিটি করপোরেশন)। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই তৃণমূলে দেখা দিয়েছে এক ধরনের ‘নীরব ক্ষোভ’।

কারণ, একই আসনে দলের প্রভাবশালী নেতা, চেয়ারপারসনের অপর উপদেষ্টা এবং সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থী হওয়ার জোর গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিন। নগরের রাজনীতি ও সাংগঠনিক নেতৃত্বে দীর্ঘ সময়ের ভূমিকার কারণে তৃণমূলের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন—আরিফুলই ধানের শীষের প্রার্থী হবেন। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সেই ধারণা ভেঙে গেছে।

দলীয় শৃঙ্খলার কারণে পদবিধারীরা মুক্তাদিরের সঙ্গে আছেন ঠিকই, তবে মাঠপর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখনো দ্বিধা ও হতাশা কাজ করছে। অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, নীরবে সক্রিয় হচ্ছেন না। এতে প্রচারে গতি আসছে না, মনোনীত প্রার্থীর সভা-সমাবেশেও প্রত্যাশিত উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির একজন শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক হলেও তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন তৃণমূলের দূরত্ব ঘোচানো। নগরের ভোটে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করতে হলে তাকে শুধু দলের পদবিধারী নয়, মাঠের কর্মীদের মনও জয় করতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার