Logo
Logo
×

সারাদেশ

অরিয়েট জুটমিলে ভয়াবহ আগুন

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

অরিয়েট জুটমিলে ভয়াবহ আগুন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত অরিয়েট জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ আগুন লাগে। টানা ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রাথমিকভাবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

তবে মিল কর্তৃপক্ষের ধারণা, আগুনে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের পাট পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে একটি বড় গোডাউন। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। 

অরিয়েট জুট মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এ জুট মিলটি অবস্থিত।

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পাশের আরেকটি গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরাও এসে আগুন নিভানোর কাজে যোগ দেয়। দুটি ষ্টেশনের মোট তিনটি ইউনিট একত্রে কাজ করে রাত সাড়ে  ৮ টার দিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে পুরোপুরি নেভাতে রাত সাড়ে ১০টা বেজে যায়। 

অরিয়েট জুট মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসনিক) হরে কৃষ্ণ বৈরাগী বলেন, সন্ধ্যার পর গোডাউনে কোনো শ্রমিক ছিলোনা। তবে আমরা অনেকে দাপ্তরিক কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। আগুন লাগার পর দ্রুত গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। আমরা এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার কোনো কারণ বলতে পারছি না। রাত দশটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আরও পড়ুন
অরিয়েট জুট মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী দিদার আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান , মিলের পিছনের দুটি বড় গোডাউনে থাকা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মণ পাট পুড়ে গেছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানি না। তবে ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১২ থেকে ১৪ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। পরে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব বলতে পারব। 

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট পরবর্তীতে রাজবাড়ী থেকে আরেকটি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নেভানোর কাজ করে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।  আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তীতে জানা যাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার