কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেই নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনের অধীনে ১১-২০ গ্রেডের শূন্যপদে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি পদের ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাসায় ২৫-৩০ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে।
এর জের ধরে শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। তালা ঝুলিয়ে বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা। তারা বলেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে অবিলম্বে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
এই অবস্থায় নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার দিন একটি বাসা থেকে ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া সিভিল কার্যালয় এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ১১-২০ গ্রেডের ১১৫টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। বিদ্যমান নিয়োগ বিধির আলোকে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক যথাযথভাবে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রেখে অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে কুষ্টিয়া শহরের ১৪টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়ি থেকে কয়েকজন ব্যক্তিকে বের হতে দেখা যায়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়, বাড়িটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.হোসেন ইমামের পৈত্রিক বাড়ি। ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।’