ফুটবল বিশ্বকাপে আমাদের অবস্থান নেই, এটা কষ্টদায়ক: প্রধানমন্ত্রী

জাগো বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২
ফুটবল বিশ্বকাপে আমাদের অবস্থান নেই, এটা কষ্টদায়ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ হচ্ছে (বিশ্বকাপ ফুটবল), আমাদের কোনো অবস্থানই নাই। এটা অনেক কষ্টদায়ক। বিশ্বকাপের খেলা টেলিভিশনে দেখি আর ভাবি, কবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই বিশ্ব আসরে খেলবে।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১২টি ইভেন্টের অধীনে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৮৫০ মেয়েসহ প্রায় ছয় হাজার ৯৫০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তৃতীয় সংস্করণের আয়োজন করে। ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক প্রদান করা হয়।

আন্ত:স্কুল, আন্ত:কলেজ, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আরও বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এভাবেই তারা একদিন চূড়ান্ত উৎকর্ষ অর্জন করে বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে। আজকে প্রাইমারি থেকে যে খেলাধুলার শুরু হয়েছে সেখান থেকে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়-আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়েই একদিন আমরা বিশ্বে খেলাধুলায় উন্নত হতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে, ক্রিকেটে পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। ছেলোরাও একদিন পারবে। সেজন্য সরকার বিকেএসপির শাখা ৮টি বিভাগে করছে, যাতে সব ইভেন্টে খেলেয়াড়রা উৎকর্ষ অর্জন করতে পারে। আর এজন্য প্রশিক্ষণ একান্ত অপরিহার্য।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রশিক্ষণের জন্য সে সময় জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে খেলোয়ার পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনেন। কাজেই, আমাদের সরকারও ছেলে-মেয়েদের স্পোর্টসের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে এবং খেলাধূলার জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। সীমিত সুযোগের মধ্যেও সরকারের এক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সীমিত সুযোগের মধ্যেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট ভাল করছে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’